খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, মাদ্রাসা জঙ্গিবাদের কারখানা তা আমি মানি না। তবে সেখানে ছেলেরা কি করে ও কি শেখে তা খেয়াল রাখতে হবে। শিক্ষক ও বাবা-মাকে ছেলেদের প্রতি নজর রাখতে হবে। যাতে করে মাদ্রাসার ছাত্ররা অন্য কোন দিকে প্রভাবিত না হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি আয়োজিত দেশের সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের জাতীয় স্কেলে বেতনের দাবি আদায়ের লক্ষে শিক্ষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে কামরুল বলেন, দেশটাকে ধ্বংস করার জন্য, জঙ্গিবাদের দেশে পরিণত করার জন্য তিনি (খালেদা জিয়া) জঙ্গিবাদ তৈরি করেছিলেন। মনে রাখবেন একদিন তারাই আপনাকে ছোবল দেবে।
তিনি আরো বলেন, কিছু সংখ্যক চিহ্নিত আলেম মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন। তবে সবাই করেননি। আমার সঙ্গেও অনেক আলেম মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তবে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেন এবং সেই সময়ে অত্যাচার-ধর্ষণ করেছেন, তাদের রাষ্ট্র বরদাস্ত করবে না। রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্বই এদের বিচার করা।
পর্যায়ক্রমে ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে প্রাথমিক স্কুলের সমমর্যাদা দেওয়া হবে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা (মাদ্রাসার শিক্ষদের) প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করেন। তিনি (হাসিনা) আপনাদের সকল দাবি দাওয়া পূরণ করবেন। স্কুল ও মাদ্রাসাকে এক চোখে দেখার ব্যবস্থা করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব কাজী রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী ওলামালীগ সভাপতি ও সংগঠনের উপদেষ্টা আল্লামা ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী, সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা কাজী মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।