‘উন্নত দেশ হলে জিএসপি প্লাস প

Slider জাতীয়

220458_bangladesh_pratidin_Tofayel

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ শুধু মধ্যম আয়ের দেশ হবে না, বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। উন্নত দেশ হলে আন্তর্জাতিক বিশ্বে আমরা যে সুযোগ-সুবিধা পাই, আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে ডিউটি ফ্রি মার্কেট অ্যাক্সেস পাই, ইন দ্য নেম অব জিএসপি- এইটা হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে।

কিন্তু আমরা ইতোমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছি। এইটা আমরা জিএসপি প্লাস হিসেবে আখ্যায়িত করে সেটা তাদের কাছে পাব।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনে শনিবার প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক এফটিএ অর্থাৎ ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট করতে যাচ্ছি। সবদিক থেকেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।

তিনি আরও বলেন, কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির ইকোনমিক অ্যান্ড স্যোশাল ইনডেক্সে তিনটা ক্রাইটেরিয়ায় পৃথিবীর অনেক দেশ স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু কোনো দেশ একসঙ্গে তিনটা পূরণ করতে পারে নাই। আমরা মানবসম্পদ উন্নয়নে যা চাহিদা (৬৬) তার থেকে বেশি ৭২। আমাদের ইকোনমিক ভার্নাবেলিটি দরকার ৩২, আমাদের ২৬।

তিনটাই আমরা অতিক্রম করেছি।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা একটা গণমুখী বাজেট দিয়েছি। যে বাজেটের সুবিধা সব মানুষ ভোগ করবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেশীয় শিল্প রক্ষা করার ব্যাপারে দুই/একটা ব্যত্যয় আছে। সেটা আমি ব্যক্তিগতভাবে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। সামগ্রিকভাবে একটি চমৎকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু লক্ষ্য নির্ধারণ করে রাজনীতি করতেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও লক্ষ্য নির্ধারণ করে রাজনীতি করেন। ২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর এই সাড়ে ৯টি বছরে বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে গেছেন। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে ভিশন-২০২১ ঘোষণা করেছিলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জিয়াউর রহমান পুনর্বাসিত করেছিলেন। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন। আর তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে একটা ভোটারবিহীন নির্বাচনে খুনি রশীদকে বিরোধীদলীয় নেতা করেছিলেন। ধিক, ঘৃণা। আজকে আমাদের নেত্রী সেই হত্যার বিচার শুরু করলেন। ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসলো। দেশটাকে আবার পেছনে নিয়ে গেল।

তোফায়েল বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্ন ছিল। একটি স্বাধীনতা, অপরটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করা। একটি তিনি করে গেছেন, আরেকটি তিনি করতে পারেন নাই। বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিজের হাতে নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে, সততার সাথে তিনি আজকে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *