ডেস্ক:বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ‘অ্যাথলেটিক একটিভি’র নাম সেক্স। বিষয়টি এখন বিশ্বকাপ ফুটবলের সঙ্গে এসে মিশে গেছে। কোনো দলের
খেলোয়াররা বিশ্বকাপ চলাকালে তার স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন কিনা, করলে কি সুবিধা, না করলে কি অসুবিধা তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক আছে। এ জন্যই এবার বিশ্বকাপে অনেক দেশ তাদের খেলোয়ারদেরদের জন্য সেক্স নিষিদ্ধ করেছে। আবার কোনো কোনো দল থেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর পক্ষে ও বিপক্ষে নানা রকম যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে।
কেউ বলছেন, খেলোয়াররা যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে তার শরীরের রক্ত সঞ্চালন হয় প্রতিটি অঙ্গে। এতে কর্মশক্তি বৃদ্ধি পায়। আবার কেউ বলছেন, এতে কর্মশক্তি ক্ষয় পায়। যৌন বিশেষজ্ঞ ডা. লরেন স্টেইচার বলেন, বিশ্বকাপ চলাকালে শুধু যৌন সম্পর্ক হতে পারে খেলোয়ারদের জন্য একটি উত্তম বিষয়। তিনি নর্দান ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সেক্সুয়াল হেলথ অ্যান্ড সেন্টার ফর মেনোপজ- এর মেডিকেল ডিরেক্টর। তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে যৌন কর্মকান্ড এথলেটিক পারফরমেন্স বাড়িয়ে দেয়, যদি তা এলকোহল নির্ভর না হয়। আর যদি যৌন সম্পর্কের পর পর্যাপ্ত ঘুম হয়। তাই খেলোয়ারদের উচিত হবে না সারারাত উদ্দামতায় মেতে থাকা। এ নিয়ে অনেক দেশের কোচ মুখ খুলেছেন। তারা নির্দেশনা দিয়েছেন কিভাবে কি করতে হবে। আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশন তো তার খেলোয়ারদের জন্য একটি ডকুমেন্টারিই তৈরি করেছে। তাতে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে কিভাবে একজন রাশিয়ান যুবতীকে বশ করতে হবে। জার্মানির প্রধান কোচ জোয়াসিম লো তার খেলোয়ারদেরকে বেডরুমের উন্মাদনা নিষিদ্ধ করেছেন। তাতে পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন। অভিযোগ আছে খেলোয়ারদের ওপর সেক্সে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আইসল্যান্ডের প্রধান কোচ হেইমার হলগ্রিমসন। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, খেলোয়ারদের স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ডদের সঙ্গে যেকোনো একশন বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে। নাইজেরিয়ার গারনট রোর তার দলকে পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছেন তারা স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ডদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন। তবে কোনো রাশিয়ান নারীর সঙ্গে এমন সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না। এতে হয়তো রাশিয়ার ওই রাজনীতিক স্বস্তি পেতে পারেন, যিনি বিশ্বকাপ শুরুর আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, রাশিয়ান যুবতীরা যেন বিদেশীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন না করেন। তবে নাইজেরিয়া টিমের ক্যাপ্টেন জন ওবি মিকেল এক্ষেত্রে ছাড় পেয়েছেন। তার দীর্ঘদিনের গার্লফ্রেন্ড রাশিয়ান। তাই তিনি এক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। কমপ্লিট স্পোর্টসকে রোর বলেছেন, হ্যাঁ খেলোয়ারদের স্ত্রীরা ও পরিবার বিশ্বকাপ চলাকালে সাক্ষাত করতে পারবে। যখন আমাদের ম্যাচ থাকবে না অথবা আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি না এমন কোনো একদিন তারা এসে সাক্ষাত করতে পারবেন। এ জন্য তারা একটি রুম পাবেন। তবে আমি তাদেরকে রাশিয়ান মেয়েদের সঙ্গে সেক্স করতে দেবো না। এটা হতেই পারে না। তবে সেক্সকে এক রকম উপহার হিসেবে মনে করা হয় কখনো কখনো। যেমনটা মনে করা হচ্ছে কোস্টারিকার ক্ষেত্রে। তারা গার্লফ্রেন্ড বা স্ত্রীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অনুমোতি দিয়েছে। জার্মানি তো সেক্স, এলকোহল পাশাপাশি সামাজিক মিডিয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে। এক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে ব্রাজিল। তারা এমন বড় কোনো ইভেন্ট এলে সেখানে যৌন সঙ্গীর সঙ্গে সময় উপভোগ করতে দেয়ার দীর্ঘ ইতিহাস আছে। তাই ব্রাজিলের কিংবদন্তি রোমারিও বর্তমান তারকা গাব্রিলে জেসাসকে বলেছেন, রাশিয়ায় থাকা অবস্থায় যত বেশি সম্ভব যৌন সম্পর্ক স্থাপন কর।