কক্সবাজারের চকরিয়াস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে পর্যটক প্রবেশ করানো নিয়ে পার্ক কর্তৃপক্ষ ও গেট ইজারাদারের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, হাতহাতি ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পার্কে আসা পর্যটকসহ নিকটবর্তী এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সাফারী পার্কের ফরেষ্টার মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রতি মঙ্গলবার সাফারী পার্ক বন্ধ থাকে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ইজারাদারের লোকজন বহিরাগত কিছু লোক নিয়ে দা, হাতুড়িসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে অনুমতি না নিয়েই সাফারী পার্কের প্রথম গেটের পকেট দরজা ও ভিতরের গেটের তালা ভেঙ্গে হাজার খানেক পর্যটক ঢুকানোর চেষ্টা করে। এসময় পার্কের কর্মচারীরা বাধা দিলে ঠিকাদারের লোকজন রেঞ্জ অফিসার মোর্শেদুল আলমকে কিল, ঘুষি, লাথি মারে। অন্য কর্মচারীদেরও মারধর শুরু করলে আত্মরক্ষার্থে পার্ক কর্মচারীরা ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। ওই সময় বাইরেও হামলাকারীরা গুলি করে বলে মাজহার চৌধুরীর দাবি।
অন্যদিকে গেট ইজারাদার মো. রফিক উদ্দিনের পক্ষে পরিচালক নাছির উদ্দিন বলেন, আমরা পার্ক কর্তৃপক্ষ চটগ্রাম বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তা এসএম গোলাম মওলার কাছ থেকে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ দিন হিসেবে পর্যটক ঢুকাতে মৌখিক অনুমতি নিয়েছি। এই অনুমতির কথা জানালে পার্ক কর্তৃপক্ষ নিজেরাই প্রথমে গেট খুলে দিলে আমরা ৬০-৭০টি টিকেট বিক্রি করি। তিনি আরো বলেন, টিকিট বিক্রির পর পর্যটক ঢুকানোর আগেই পার্কের রেঞ্জার মোটা অংকের টাকা দাবি করলে তা দিতে অস্বীকার করলে ফের গেট বন্ধ করে দেয় এবং পার্ক কর্মচারীরা গুলি করলে পর্যটকসহ এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
রেঞ্জারকে মারধর করার অভিযোগ সাজানো ও মিথ্যা বলে তার দাবি।
সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে সাফারী পার্ক খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে কিনা জানতে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা এসএম গোলাম মওলার সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।