নেত্রকোনায় খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট

Slider গ্রাম বাংলা

200235_bangladesh_pratidin_bz-neta

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নেত্রকোনায় যুবক খুনের ঘটনায় বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুরসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নের বাদেবহর গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

খুনের ঘটনায় নিহতের স্বজনরা এমন হামলার ঘটনা ঘটায় বলে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ। তবে হামলায় নিরপরাধ পরিবারের বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিাযোগ করছেন ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরেই সদর উপজেলা বাদেবহর গ্রামের আব্দুল কাদির, কমল মেম্বারসহ বেশ কয়েকজনের সাথে মৃত আবুল মনছুরের ছেলে নিহত হারেস উদ্দিনের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই এই জমি নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই মধ্যে ঈদের দিন রাত সাড়ে ১০ টায় বাড়ি থেকে খেলা দেখার উদ্দেশ্যে বাজারে যাওয়ার পথে আগে থেকেই উৎপেতে থাকা প্রতিপক্ষের লোকজন হারেসকে খুন করে পুঠা বিলে ফেলে রাখে বলে দাবী করছেন স্বজনরা। এ ঘটনার পর থেকে সন্দেহভাজনরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেলেও উত্তেজিত গ্রামবাসী অভিযুক্তদের বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর চালায় বলে দাবী করেছের নিহতের স্বজনরা।

এদিকে এ সময় হামলার শিকার হয় বাদেবহর গ্রামের প্রায় বিশটিরও বেশী ঘরবাড়ি।

এ সময় নিরপরাধ আবেদ আলী, হারুনর রশিদসহ বেশ কয়েকটি পরিবারই হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভোক্তভোগীরা। হামলার সময় আবেদ আলীর ১০টি গবাদিপশু, গুলার ধান চাল, টাকা পয়সা লোটপাট করে নিয়ে যায় হামলারীরা। এ সময় বাধা দিলে আবেদ আলীর স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন আহত হন। এছাড়াও একই গ্রামের হারুনর রশিদসহ অরো বেশ কজনের বাড়ি ঘর ও আসবাবপত্র ব্যাপক ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ভোক্তভোগীদের।
এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। সেইসাথে ভাংচুরের বিষয়ে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছেন নেত্রকোনা অতিরিক্ত পুরিশ সুপার সদর সর্কেল মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল।

এ ঘটায় এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাই নিহত ও ভাংচুরের ঘটনার সুষ্ট তদন্ত পূর্বক দোসীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় ভোক্তভোগীসহ সাধারণ মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *