ঝালকাঠি সদর ও রাজাপুর উপজেলায় পৃথক ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ঝালকাঠিতে জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হন।
ওই সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। অপরদিকে রাজাপুর উপজেলায় আরও এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।
ঝালকাঠি সদর থানার উপ-পরিদর্শক মোজাম্মেল হোসেন জানান, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ রবিবার দুপুরে ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের রমনাথপুর গ্রামে জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে প্রতিপক্ষের রডের আঘাতে মেহেদি হাসান মজুমদার নামের এক যুবক মারা যায়। আহত হয় দুই পক্ষের ৫ জন । তাদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত অভিযোগে পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। মেহেদি হাসান সুমন রমনাথপুর গ্রামের দুলাল মজুমদারের ছেলে।
অন্যদিকে জেলার রাজাপুরের ভাতকাঠি গ্রামে সবুজ হোসেন (২৫) নামে এক নির্মাণশ্রমিককে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ রবিবার দুপুরে বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সবুজ ওই এলাকার মৃত মোকাম্মেল হোসেনের ছেলে। সবুজ রাজমিস্ত্রীর জোগালে ও ইলেকট্রিকের কাজ করতো।
পুলিশ জানায়, ঈদের দিন শনিবার রাত ৯ টার দিকে বাড়িতে গিয়ে একই বাড়ির প্রতিবেশী আব্দুল লতিফের ঘরে গিয়ে রুটি ও পান খেয়ে নিজ ঘরে না গিয়ে আবার বাড়ি থেকে বাহিরে বের হন তিনি। রাতে আর ঘরে ফেরেনি। সকালে বাড়ির পাশের বাগানে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়।
ঝালকাঠি জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান ও রাজাপুর-কাঠালিয়া সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হোসেন রেজা ঘটনা স্থান পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন।
রাজাপুর থানার ওসি মামসুল আরেফিন জানান, তার মুখমন্ডলে কিলঘুষির দাগ এবং গলায় রশ্মি বা বৈদ্যুতির তার দিয়ে ফাস লাগিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করা দেখা হচ্ছে। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।