শহীদ বুদ্ধিজীবী সেলিনা পারভিনের ছেলে সুমন জাহিদের মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা, তা বলার সময় এখনও আসেনি বলে জানিয়েছেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি। ঈদ উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘একটা মৃতদেহ অস্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া গেলে তদন্ত হয়। সুমন জাহিদের বিষয়টিও এখন তদন্তের পর্যায়ে আছে। এটা হত্যা, আত্মহত্যা, নাকি অন্যকিছু; তা নিয়ে মন্তব্য করার এখনও সময় হয়নি। ’
আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি বলেছেন, ‘পুলিশের সংশ্লিষ্ট সব ইউনিট সুমন জাহিদের মৃতদেহ থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে। এছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিকিৎসকের কাছ থেকেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যাবে। সব দেখে পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত বলা যাবে। ’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে খিলগাঁওয়ের বাগিচা এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে সুমন জাহিদের (৫২) দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে থানা পুলিশ।
এদিকে শুক্রবার সকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি জানান, ফাঁকা ঢাকার জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন. ‘ঈদের আগে মানুষের নিরাপত্তায় রাস্তায় ও বিভিন্ন বিপণী বিতানকেন্দ্রিক পুলিশের যে অতিরিক্ত দায়িত্ব রয়েছে, সেগুলো পরে বাসাবাড়ি বা আবাসিক এলাকায় স্থানান্তর করা হচ্ছে। তারপরও এখন আমাদের বাহিনীর সদস্যরা খেয়াল রাখবে যেন বাসাবাড়ির নিরাপত্তা থাকে। সব এলাকাও যেন নিরাপদ থাকে। ’
ময়না তদন্তের অপেক্ষা:
সুমন জাহিদের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। ট্রেনে কাটা পড়ে, নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলেই জানা যাবে সব। সুমন জাহিদের মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেছে পুলিশ। তাই এখন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও চিকিৎসকদের।
সুরতহাল প্রতিবেদনে কমলাপুর রেলওয়ে থানার এএসআই আনোয়ার হোসেন উল্লেখ করেছেন, ‘সুমন জাহিদের কপালের সামনের অংশে সামান্য জখম রয়েছে। মাথার পেছনে কানের ওপরে ২ ইঞ্চি থেতলে গেছে, সেখানেও জখমের দাগ রয়েছে। শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন ছিল। নাক, পায়ের পাতা, পিঠ ও পাঁজর স্বাভাবিক মনে হয়েছে। মুখ অর্ধ্বখোলা আর দাঁত দেখা গেছে। দুই হাত লম্বালম্বি অবস্থায় পড়ে ছিল। ’