চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম ব্যস্তমত সড়ক পোর্ট কানেকটিং রোড় ও আগ্রাবাদ এক্সেস রোড়ের চলমান সমস্যা নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবুর রহমান বৈঠক করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে মেয়রের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে দুই সড়কের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা এবং সড়কটির ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণে ঈদের পরই চসিক-সিএমপি এবং পরিবহন খাতের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাসুদুল হাসান, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ।
এ সময় মেয়র বলেন, পোর্ট কানেকটিং রোডে ব্যবসায়ীরা ক্যারেটগুলো দোকানে না রেখে রাস্তায় রাখার কারণে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার বড় একটা অংশও তাদের দখলে চলে যায়। আবার এই ক্যারেট লোড-আনলোড করার সময় ট্রাকগুলো রাস্তায় পার্কিং অবস্থায় থাকে। এটি সড়কটিতে যানজটের অন্যতম কারণ। তাই ব্যবসায়ীদের ক্যারেট রেখে রাস্তা দখল করার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। ’
মেয়র বলেন, চসিক জাইকা’র অর্থায়নে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে পোর্ট কানেকটিং রোড এবং আগ্রাবাদ এক্সেস রোডকে ছয় লেনে উন্নীতকরণ কাজ শুরু করেছে। কাজটি আগামী বছরের মে মাসে শেষ হওয়ার কথা।
তাই দ্রæত সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার সুবিধার্থে আপাতত সড়কের একপাশ বন্ধ রাখা হবে। এই লক্ষ্যে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখবেন। ’
তিনি বলেন, ‘দৈনিক ৭-৮ হাজার পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান বা প্রাইম মুভার গাড়ি বন্দর থেকে বের হয়। কিন্তু এই পরিমাণ গাড়ি চলার মত আয়তন বা পরিস্থিতি এই সড়কের নেই। কাজেই যানজট লেগেই রয়েছে। ছয় লেনে উন্নিতকরণ কাজ সম্পন্ন হলে এই সড়কে সৃষ্ট যানজট সমস্যা নিরসন হবে। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নকালীন সময়ে নগরবাসীর সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।