মামাতো বোনের সাথে তোলা পুরনো প্রেমের ছবি ফেসবুকে দেয়ায় বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মামা নুরুল আবছারকে (৪৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে ভাগিনা জকির আলম (২৫)। হত্যার পর জকিরকে বোরকা পরিয়ে পালাতে সহায়তা করায় তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমকে (২০) আটক করেছে পুলিশ।
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ ভাঙ্গারপাড়া গ্রামে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুরুল আবছার ওই এলাকার আব্বাস আহমদের ছেলে।
আত্মীয়দের উদ্বৃতি দিয়ে চকরিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রায় ৫ বছর পূর্বে মায়ের চাচাতো ভাই নুরুল আবছারের মেয়ের সাথে প্রেম ছিলো জকির আলমের। ওইসময় উভয়ে কয়েকটি ছবিও তুলেছিল। প্রেম চলাকালেই প্রথমে জকির অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করছিল। পরে প্রেমিকার বিয়ে হলে পুরনো প্রেমের ছবি ফেসবুকে আপলোড করে জকির।
ওসি আরো বলেন, ওই ছবি প্রচারের পর দু’পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠক ডাকাহলে জকির পালিয়ে যায় চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামে জকির দর্জির কাজ ও তার স্ত্রী একটি গার্মেন্টে চাকুরী নেয়।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে স্বামী-স্ত্রী ঈদ উপলক্ষ্যে গ্রামের বাড়িতে আসে। বাড়ি থেকে বের হলে ফেসবুকে দেয়া ছবির রেশ ধরে মামা নুরুল আবছারের সাথে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে হাতাহাতি হলে ভাগিনা জকির কোমর থেকে ছুরি বের করে মামাকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় নুরুল আবছার।
এ ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন জকিরকে ধরতে ধাওয়া দিলে জকির শ্বশুর বাড়িতে লুকিয়ে পড়ে। সেখান থেকে স্ত্রী ও শ্বাশুড়ির সহায়তায় বোরকা পরে ছদ্মবেশ নিয়ে পালিয়ে যায় জকির। হত্যার অভিযুক্ত জকিরকে পালাতে সহায়তা করায় স্ত্রী হোসনে আরাকে আটক করা হয়। এসময় শাশুড়ি পালিয়ে যায়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সন্ধ্যায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।