ফেনী শহরের সহদেবপুর এলাকায় আজ সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন যুবলীগের এক কর্মী। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সন্ধ্যায় তিনি মারা গেছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম আবুল কাশেম ডালিম (২৭)। তিনি ফেনী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের (বিরিঞ্চি ও সহদেবপুর এলাকা) যুবলীগের কর্মী। ডালিম ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগর গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফেনী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আলমের সঙ্গে বিরিঞ্চি এলাকার যুবলীগের কর্মী স্বপনের বিরোধ চলছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় কয়েকদিন ধরেই পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। গতকাল সন্ধ্যায়ও দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। নিজেদের শক্তি বাড়ানোর জন্য দুপক্ষই স্থানীয় লোকজন ছাড়াও বহিরাগত যুবকদের জড়ো করে।
আজ দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে পেছন দিক থেকে গুলিবিদ্ধ হন কোহিনুরের সমর্থক ডালিম। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় ডালিম মারা যান।
ফেনী মডেল থানার ওসি মাহবুব মোরশেদ জানান, শহরের সহদেবপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ যুবক ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে তিনি শুনেছেন। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।