ঢাকা: বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিশিষ্টজনদের মৌন অবস্থান কর্মসূচি পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে দুই দফায় পৃথকভাবে বিশিষ্টজনেরা সেখানে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশের বাধায় সরে যেতে বাধ্য হন। প্রথম দফায় আসা দলটি পুলিশের বাধায় সঙ্গে আনা ব্যানারও খুলতে পারেনি। আর পরের দলটি ২০ মিনিটের মতো শহীদ মিনারের সিঁড়িতে অবস্থান নিতে পারে।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই অবস্থান কর্মসূচিটি হওয়ার কথা ছিল।
সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে ৫০ জনের মতো বিশিষ্টজন শহীদ মিনারে সমবেত হন। তাঁরা সেখানে যাওয়া মাত্র পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। পুলিশের বাধা পেয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে সেখান থেকে চলে যান তাঁরা।
এ সময় অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি মানবিক আবেদন নিয়ে আমরা এখানে এসেছিলাম। আমরা চাই, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে যেন মানবিক কারণে মুক্তি দেওয়া হয়। আমাদের সঙ্গে আনা ব্যানারে সেই কথাটিও লেখা ছিল। কিন্তু তারা (পুলিশ) ব্যানারটি খুলতেই দেয়নি। এখানে দাঁড়াতেও দেয়নি, বসতেও দেয়নি।’
ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক জেড এন তাহমিদা খাতুন, অধ্যাপক তাজমেরি এন ইসলাম, ডা. এম এ আজিজ, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ।
ওই দল চলে যাওয়ার পর বেলা ১১টার দিকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশিষ্টজনদের আরেকটি দল শহীদ মিনারে এসে পৌঁছায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অধ্যাপক মেজবাহ-উল ইসলাম, হোসনে আরা, আখতার হোসেন খান, আবদুর রশীদসহ ১৫ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিক। তাঁরা শহীদ মিনারের সিঁড়িতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অবস্থান নেন।
পুলিশ এসে তাঁদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে। ওই সময় তাঁরা পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘থাকার জন্য আসিনি, চলে যাব।’
এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ওনারা কী জন্য এসেছেন, জানি না। অনুমতি থাকলে বুঝতে পারতাম কী কারণে এসেছেন। আমরা খবর পাই যে এখানে কিছু লোক জড়ো হয়েছেন, অনুমতি না থাকায় তাঁদের চলে যেতে বলেছি।’