এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ সকলের জীবনে বয়ে আনে অনাবিল আনন্দ। ঈদে নতুন জামা- কাপড়ের প্রতি মানুষের যেমন আগ্রহ থাকে তেমনি খাবারের প্রতিও রয়েছে মানুষের আগ্রহ।
ঈদে খাবারের অন্যতম একটি উপকরণ হল সেমাই। বাঙালির ঈদ উদযাপনে খাবারের তালিকায় থাকে সেমাই। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে একটু সেমাই না খেলে যেন হয়ইনা। আর ঈদের দিন অতিথি আপ্যায়নের ক্ষেত্রেও খাবারের তালিকায় উঠে আসে সেমাই।
রমজান মাসের প্রথম দিকে নানা রকম সেমাইয়ে বাজার ভরে উঠলেও তেমন বেচাকেনা হয়নি। রজমানের শুরুতে বেচাকেনা না হলেও ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে সেমাইয়ের বাজার জমে উঠেছে পুরোপুরি।
এছাড়া রমজান মাসজুড়ে জেলার সেমাই কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলায় মানে খারাপ ও অস্বাস্থ্যকর সেমাই অনেকাংশেই বাজার থেকে ছাটাই হয়ে গেছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে নিয়মিত বাজার পরিদর্শনের কারণে রমজান জুড়ে ভেজালমুক্ত খাবার পাচ্ছে ঠাকুরগাঁওবাসী।
ঠাকুরগাঁও শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে সেমাইয়ের জমজমাট বেচাকেনা। প্রায় প্রতিটি দোকানেই সেমাইয়ের বেচাকেনা হচ্ছে।
এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে বনফুল, কুলসন, কিষোয়ান, ওয়েল ফুডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লাচ্ছা ও চিকন সেমাই।
ঠাকুরগাঁও আল বাইক বেকারিতে সেমাই কিনতে আসা আক্তারুজ্জামান বলেন, ঈদের দিন অন্যান্য খাবারের সাথে একটু সেমাই না হলে চলেই না। ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে একটু মিষ্টি সেমাই মুখে না দিলে কেমন যেন অপূর্ণতা থেকে যায়।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের সেমাই থাকার পাশাপাশি দামেও ভিন্নতা রয়েছে। বনফুল, কিষোয়ান, অলটাইম ও কুলসন প্রতি কেজির দাম ১৬৫-১৮০ টাকা।
এছাড়া বাজারের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে খোলা সেমাইও। খোলা লাচ্ছা সেমাই প্রতি কেজি ১৪০-১৬০ টাকা, খোলা চিকন সেমাই প্রতি কেজি ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানের শুরুতে সেমাইয়ে তেমন বেচাকেনা হয়নি তবে ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে সেমাইও বিক্রি হচ্ছে বেশি। এছাড়া সেমাইয়ের সাথে নারিকেল, বাদাম কিসমিস সহ অন্যান্য উপকরণেরও বিক্রি বেড়েছে। বাজারে প্যাকেটের সেমাইয়ের পাশাপাশি খোলা সেমাইও বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে।