জেলার ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হক একরাম হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত দুই আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। তারা হলেন- আবদুর রউফ ও মোহাম্মদ মাসুদ। ফেনী জেলা কারাগার থেকে সোমবার বিকেলে তারা মুক্তি পান। ফেনী কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মো. আনোয়ারুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি এস এম নুরুল হুদা জাহাঙ্গীরের একটি যৌথ বেঞ্চ আসামি আবদুর রহমান ওরফে আবদুর রউফ ও মোহাম্মদ মাসুদকে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন আদেশের কপিটি আজ সোমবার সকালে ফেনীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোফিজুর রহমান ভূঞার আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আদালত সেটি যাচাই-বাছাই করে তাদের মুক্তির জন্য ফেনী জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন। কপিটি দুপুরে ফেনী কারাগারে পৌঁছলে কারাকর্তৃপক্ষ বিকেলে তাদের মুক্তি দেন। আবদুর রহমান ওরফে আবদুর রউফ সদর উপজেলার উত্তর সোনাপুর এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া মোহাম্মদ মাসুদ নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে।
এর আগে, আলোচিত ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহতাব উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে মিনার চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেলেও কয়েক দিন পর তা বাতিল হলে পুনরায় গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া ওই মামলার অপর দুই আসামি ফেনী পৌরসভার কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল্লাহিল মামুদ (শিবলু) এবং ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী জেহাদ উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে তা বাতিল হয়ে যায়। ২০ মে ফেনীর একাডেমি এলাকার বিলাসী সিনেমা হলের সামনে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হককে প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে এবং পরবর্তী সময়ে গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।