লক্ষ্মীপুর সদরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ইউপি সদস্য (মেম্বার) আবদুল খালেক গোলদারসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বিকেলে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের কথা বলা হলেও কে বাদী, কতজনকে আসামি ও গ্রেফতারকৃতদের নাম-পরিচয় জানায় নি তারা।
এরআগে শনিবার (৯ জুন) রাতে সদর উপজেলার চররমনী মোহনের বালুচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের কয়েকজন জেলে শনিবার (৯ জুন) দুপুরে মাছ ধরতে মেঘনা নদীতে যায়। তারা সদর উপজেলার চররমনী ইউনিয়নের বালুরচর এলাকায় নদীতে গিয়ে জাল ফেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জেলেরা তাদেরকে আটকে রাখে। এ খবর পেয়ে দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নজরুল ইসলাম, হাজীমারা ফাঁড়ি পুলিশ ও আটকদের স্বজনদের নিয়ে বালুরচরে আসে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বালুরচরের লোকজন তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) তানভীর হোসেন, কনস্টেবল মহিন উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। পরে তাদেরকে চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল খালেক গোলদার ও তার অনুসারীরা আটকে রাখে। খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। দুই পুলিশ সদর হাসপাতালে ও অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।
রায়পুরের দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মো. মিন্টু ফরায়েজি বলেন, আমার এলাকার জেলেদেরকে আটকে রাখার খবর পেয়ে ইউপি সদস্য নজরুল পুলিশসহ বালুরচরে গেলে পুলিশসহ তাদেরকে মারধর করা হয়।
সদরের চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়াল বলেন, নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই ইউপি সদস্য ও তাদের লোকজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমার পরিষদের সদস্য আবদুল খালেক ও স্থানীয় ৪ জনকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. লোকমান হোসেন বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইউপি সদস্যসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।