গাজীপুরে বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত কামুর পরিচয় পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাতে মর্গে লাশটি দেখে আছমা বেগম নামে এক নারী সেটি তার স্বামী কামাল খান কামুর বলে শনাক্ত করেন।
তবে শুক্রবার সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল কামু টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার ২২ মামলার আসামি কামরুল ইসলাম কামু। এ কামু এখন কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার উলুখোলা-রায়েরদিয়া (গাইনীপাড়া) গ্রামে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে কামু নিহত হন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে জয়দেবপুর থানায় মামলা হয়েছে।
আছমা বলেন, বৃহস্পতিবার সারা দিন স্বামীর খোঁজখবর করেও পাইনি। এলাকাবাসীর মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে মর্গে গিয়ে স্বামীর লাশ দেখতে পাই। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে ডিবি পুলিশের পোশাক পরিহিত ছয়জন তাদের বাসায় ঢুকে তল্লাশি শুরু করে। একপর্যায়ে কামুর সঙ্গে কথা রয়েছে বলে তাকে নিয়ে যায় তারা। একই সঙ্গে বাসার টেলিভিশন, মোবাইল ফোনসেট, স্বর্ণালঙ্কার, কিছু দলিল-দস্তাবেজ, কামুর জাতীয় পরিচয়পত্র ও বেশ কিছু কাগজপত্র নিয়ে যায় পুলিশ।
এসব বিষয়ে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক আমীর হোসেন বলেন, ডিবি পুলিশ কামুর বাড়িতে যায়নি। পুলিশের বিরুদ্ধে টিভি বা অন্য মালামাল নেয়ার অভিযোগও ঠিক নয়। কামু একজন সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে টঙ্গী ও কালীগঞ্জ থানায় দুটি মাদক এবং জয়দেবপুর থানায় একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার বিকালে ডিবি পুলিশ কামুর নামের সংশোধনী দেয়। তার বাবার নামেও সংশোধনী আনে। বলা হয় নিহত ব্যক্তির নাম কামাল খান ওরফে কামু। তার বর্তমান ঠিকানা গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার উলুখোলা-রায়েরদিয়া এলাকার গাইনীপাড়ায়। তার বাবার নাম সিরাজ খান।
শুক্রবার সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল নিহত কামু টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার ২২ মামলার আসামি কামরুল ইসলাম কামু। জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে এ কামু টঙ্গীর একটি ডাবল হত্যা মামলার আসামি হিসেবে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তার আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, জামিন না হওয়ায় ২ বছর ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি।