দীর্ঘ ৮ বছর পর চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির অনুমোদন মিলেছে কেন্দ্র থেকে। অপূর্ণাঙ্গ এই কমিটি ঘোষণায় পদবঞ্চিত নেতাদের একটি অংশ শুক্রবার রাতেই বিক্ষোভ ও দলীয় কার্যালয়ে ভাংচুর করেছেন।
অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাবেক অনেক ছাত্র ও যুবদল নেতাও। যুবদলের শতাধিক নেতাকর্মী শুক্রবার রাত ১২ টার পর নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের বাসভবনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। ফলে বিএনপির এই অঙ্গ সংগঠনের নতুন ঘোষিত কমিটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে যুবদল নেতাকর্মীদের মধ্যে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে মোশাররফ হোসেন দিপ্তীকে সভাপতি ও মো. শাহেদকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের ৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে মো. ইকবাল হোসেনকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মোশাররফ হোসেনকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও এমদাদুল হক বাদশাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১১ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের আংশিক কমিটি হয়েছিল। প্রায় ৮ বছর পর শুক্রবার রাতে আগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটির ঘোষণা আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর যুবদলের নব ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদ বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৫ সদস্যের কমিটি গঠনের বিষয়টি জানানো হয়। দুই বছরের জন্য এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে ৫ সদস্যের এই কমিটি ঘোষণা আসার পর সভাপতি পদবঞ্চিত যুবদল নেতা শামসুল হকের অনুসারীরা শুক্রবার রাতে নগরীর বাদশা মিয়া রোডে ডা. শাহাদাতের বাসার সামনে বিক্ষোভ করেন। সেখান থেকে একটি দল নগরীর নূর মোহাম্মদ সড়কসংলগ্ন বিএনপি কার্যালয়ে রাত ১২টার পর ভাংচুর করেন। এ সময় তারা ডা. শাহাদাত ও মোশাররফ হোসেন দিপ্তীর বিরুদ্ধে শ্লোগান দেন এবং অবিলম্বে কমিটি বাতিলের দাবি তুলেন।
এদিকে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ঘোষিত কমিটি অত্যন্ত শক্তিশালী হয়েছে মন্তব্য করে বলেন, ৫ জনের মধ্যে তিনজনই সাবেক যুবদল নেতা এবং তারা কার্যকর ভূমিকা রেখে আসছে। যে কোনো কমিটি হলে পক্ষ-বিপক্ষ থাকেই এতে বিচলিত হওয়ার মতো কিছু নেই। তাৎক্ষণিক রাগে-ক্ষোভে কেউ কেউ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেÑএটা স্বাভাবিক। তবে এই কমিটি দ্রুত ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে চট্টগ্রামের রাজপথে লড়াকু ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করছি।
যুবদল সাধারণ সাধারণ সম্পাদক পদবঞ্চিত নেতা শাহেদ আকবর বলেন, দীর্ঘদিন দলের জন্য কাজ করেও বঞ্চিত হয়েছি। আমার মতো অনেকে রয়েছেন যারা দলের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে আসছিলেন। এই কমিটি ঘোষণার ফলে এখন অনেকে হয়ত আগের মতো আর দলীয় কাজে সাড়া দেবেন না।