বাংলাদেশের ঈদ, পূজা কিংবা অন্যান্য উৎসব উপলক্ষে ভারতীয় (বাংলা ও হিন্দি) এবং পাকিস্তানি কোনো সিনেমা আমদানি করে মুক্তি দেওয়া যাবে না। তবে সরকারি নীতিমালা সঠিকভাবে মেনে যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণ করা হয়, সেসব উৎসবে মুক্তি পাবে। তবে হলিউড ছবি আমদানিতে বাধা নেই।
আজ (বুধবার) সকালে সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে যৌথ বেঞ্চে আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দার এই নির্দেশ দেন।
আজ আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি আর তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান আসাদ। আর অপর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। এছাড়াও আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসির সাথে ছিলেন ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ।
ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ বলেন, দুই ঈদ,পূজা ও পয়লা বৈশাখে ভারতের বাংলা ও হিন্দি ছবি এবং পাকিস্তানি ছবি আমদানি করা যাবে না। তবে সরকারি নীতিমালা সঠিকভাবে মেনে যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণ করা হয়, সেসব উৎসবে মুক্তি পাবে। এছাড়াও বিদেশি অন্যান্য ছবি আমদানির ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।
যার ফলে আগামী ঈদে কলকাতার লোকাল প্রোডাকশনে নির্মিত ‘ভাইজান এলো রে’ এবং ‘সুলতান’ নামে দুই আমদানি চুক্তিতে বাংলাদেশে ছবি মুক্তি পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এর আগে গত ১০ মে নিপা এন্টারপ্রাইজের মালিক সেলিনা বেগমের করা এক রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, পূজা ও পয়লা বৈশাখের সময় ভারতীয় বাংলা ও হিন্দি, পাকিস্তানি ছবি এবং যৌথ প্রযোজনার ছবি আমদানি ও প্রদর্শন বন্ধের আদেশ দেন।
এরপর ওই আদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ আজ হাইকোর্টের আদেশ কিছুটা সংশোধন করে আদেশ দিলেন।