এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
পৃথক ঘটনায় ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল উপজেলায় একইদিনে দুইটি আত্মহত্যার ঘটনা করেছে। উক্ত দুই ঘটনায় চারজনের মৃত্যু ঘটেছে।
মঙ্গলবার উপজেলার শালগড়া গ্রামে প্রেমিক-প্রেমিকা গলায় ফাঁস দিয়ে এবং বাচোর গ্রামে স্বামী ও স্ত্রীর বিষপানে হত্যার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার শালগড়া গ্রামের তীরেন রায়ের কন্যা সুধা রানীর (১৬) সঙ্গে একই উপজেলার ছিট ঘিডোব গ্রামের উপেন্দ্র নাথ রায়ের পুত্র নন্দলাল রায়ের (১৮) প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। কিন্তু মেয়ের পরিবারের লোকজন ছেলের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় এ সর্ম্পক মেনে নেয়নি। মঙ্গলবার সকালে শালগড়া গ্রামের জনৈক এরশাদের আম বাগানে নন্দলালের গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় ও সুধা রানীর লাশ মাটিতে শোয়ানো অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এস. আই. আব্দুল মান্নান জানান, সুধা রানীর নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত আসতে দেখা গেছে। ভিসেরা রিপোর্ট ছাড়া এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। সেজন্য দুইজনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর গ্রামের স্বামী যতো রায় (৩৫) ও স্ত্রী যুক্তি রানী (২৫) পারিবারিক কলহের জের ধরে সোমবার দিবাগত রাতে বিষপান করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের পীরগঞ্জ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক যুক্তি রানীকে মৃত ঘোষণা করেন এবং যতো রায়কে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। দিনাজপুরে যাওয়ার পথে যতো রায় মারা যান।
পীরগঞ্জ থানা ওসি আমিরুজ্জামান পৃথক দুইটি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাননি।