বেলজিয়ামের লিজ শহরে এক ব্যক্তি পুলিশের দু’জন সদস্য এবং অন্য একজনকে হত্যা করার পর ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। ঘটনা ঘটেছে শহরের কেন্দ্রে একটি কফির দোকানের কাছে।
সরকারি একজন কৌঁসুলি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, হামলাকারী টহলরত পুলিশের দুই সদস্যকে প্রথম ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। তারপর তাদের একজনের কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নিয়ে দুজনকেই গুলি করে হত্যা করে।
পরপরই পাশের রাস্তায় চলন্ত একটি গাড়িতে এলোপাথাড়ি গুলি চালালে গাড়ির একজন যাত্রী নিহত হয়।
পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে বেলজিয়ামের মিডিয়া বলছে হামলাকারী ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার করছিলো।
হত্যাকাণ্ডের পর হামলাকারী পাশের একটি স্কুলে ঢুকে একজন নারী পরিচ্ছন্ন কর্মীকে জিম্মি করে। সেসময় পুলিশ এসে পড়লে সে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। গুলিতে বেশ কজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে।
বেলজিয়ামের রাষ্ট্রীয় টিভি আরটিবিএফ জানিয়েছেন, হামলাকারী মাদকের মামলায় কারাগারে আটক ছিল। কিন্তু সোমবার সে অল্প কিছুদিনের জন্য ছাড়া পায়।
একদিন পরপরই সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটালো।
জানা গেছে, তার নাম বেঞ্জামিন হারম্যান। বয়স ৩৬। কারাগারে থাকা অবস্থায় ইসলামী কট্টরপন্থী কিছু লোকের সাথে তার সখ্যতা তৈরি হয়েছিল।
প্যারিসে ২০১৫ সালের যে সন্ত্রাসী হামলায় ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল, তার হোতারা বেলজিয়াম-ভিত্তিক একটি কট্টর ইসলামি চক্রের সাথে জড়িত ছিল।
২০১৬ সালে ব্রাসেলসে তিনটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৩২ জন মারা যায়। তখন থেকে বেলজিয়ামে কড়া সতর্ক অবস্থা জারি রয়েছে।