বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রতিদিন মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, যাদের হত্যা করা হচ্ছে তারা যদি অপরাধী হয়, তাহলে তাদের বিচার হলো না কেন? বাংলাদেশে একটা নতুন পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বা অন্য কোনো কিছু আগাম সৃষ্টির জন্য এটা করা হচ্ছে কি না, এ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এটাকে যদি শুধু আমরা মাদকবিরোধী অভিযান মনে করি, তাহলে ভুল হবে। এর পেছনে ষড়যন্ত্র আছে, এর পেছনে নিশ্চয় আরো একটা ভিন্ন ধরনের চক্রান্ত রয়েছে, যা করে করে আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ টিকে আছে।’
গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে ফখরুল এ কথা বলেন।
বন্দুকযুদ্ধে নিহত কক্সবাজারের টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা যুব লীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হকের প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, ‘আজকের পত্রিকায় আছে দেখবেন, কক্সবাজারের একজন কাউন্সিলর, যাঁকে হত্যা করা হয়েছে। সেই এলাকার সব মানুষ বলছে, একজন নিরহ ভালো মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আপনারা দেখেছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তাঁরা বলেছেন যে ওই কাউন্সিলরের আর্থিক সচ্ছলতা নেই। তিনি তিনবার নির্বাচিত হয়েছেন। কাদের ইঙ্গিতে এই হত্যাকাণ্ড। কারা এই তালিকা তৈরি করেছে? সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনার ঘরকে সুন্দর করে রেখে দিয়েছেন। আপনার ঘরে যারা মাদকসম্রাট হিসেবে পরিচিত, মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত, তাদের গায়ে আপনি ফুলের টোকাও দিচ্ছেন না।’ তিনি বলেন, ‘আজকে রক্তাক্ত হয়ে গেছে বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করছিলাম তখন রক্ত ঝরিয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পর যখন আন্দোলন করেছিলাম তখনও রক্ত ঝরিয়েছে তারা। এবার যে রক্ত ঝরছে, তা সত্যিকার অর্থে এর আগে আর কখনো ঝরেনি। এত রক্ত ১৯৭১ সাল ছাড়া এ দেশে আর কখনো ঝরেনি।’