অন্ধ্রপ্রদেশের এক ১৬ বছরের কিশোরীর তৃতীয়বার গর্ভপাত চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে৷ বিজয়ওয়াড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে গত অক্টোবর মাসে মৃত্যু হয় তার৷ সম্প্রতি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে৷
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, মেডিকেল রেকর্ড খুঁজে তার মৃত্যু প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা হয়েছে৷ ওই কিশোরীকে গর্ভপাতের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীকে বিগত দুই বিছর ধরে স্কুলের প্রধানশিক্ষক যৌন হেনস্তা করে৷ ওই কিশোরী তার বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকত৷ কিন্তু স্কুল শেষে সে অন্যান্য পড়ুয়াদের সঙ্গে স্পেশাল ক্লাস করতে যেত৷ সাধারণত কোনো স্কুল এই ধরণের স্পেশাল ক্লাস হয়না৷ কিশোরীর পরিবার জানিয়েছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিশোরীর পড়াশোনার খবর বহন করতে চেয়েছিল৷ এই কারণেই তারা প্রধান শিক্ষককে মানা করেননি৷ পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই প্রধান শিক্ষক চলতি বছরের গত জানুযায়ী মাসে অবসর নেন৷ এরপর থেকেই একই স্কুলের ইংরেজীর শিক্ষক ওই কিশোরীকে প্রধান শিক্ষকরের সঙ্গে সম্পর্কে নিয়ে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে ও কিশোরীর উপর যযৌন নিগ্রহ শুরু করে৷ প্রধানশিক্ষক কিশোরীকে অন্য বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করেছে পুলিশ৷
বিজেপি ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার ভিত্তিতেও গত শনিবার প্রধান শিক্ষক ও ইংরেজীর শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
এনডিটিভি সূত্রে খবর, এই মামলার তদন্তকারী অফিসার সুধাকর জানিয়েছেন, মৃত কিশোরীর বাবা-মা তাদের অপর দুই কন্যার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই এই মামলায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি৷ ওই প্রধান শিক্ষকও কিশোরীর পরিবারের মুখ বন্ধ রাখার জন্য তাদের জন্য আধ একরের একটি জমি কিনে দিয়েছেন৷ এই মামলায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ ওই কিশোরীর গর্ভপাত কোথায় করা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ এছাড়াও ওই ছাত্রীর মৃত্যু সঙ্গে অন্য কোনও শিক্ষক জড়িত আছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷