আশুলিয়ায় একটি তৈরি পোশাক কারখানার ভিতরে এক নারী পোশাক শ্রমিক (১৯) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এঘটনায় দুই ধর্ষণকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে এঘটনায় ওই কারখানায় ব্যাপক ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এঘটনায় শ্রমিকদের সাথে পুলিশের ব্যাপস সংঘর্ষ ৫ পুলিশসহ আহত ২০।
সোমবার দুপুরে আশুলিয়ার কাঠগড়া দুর্গাপুর এলাকায় পেন্টা ফোর্ড এ্যাপারেলন্স লিমিটেড কারখানায় এঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, কাঠগড়া দুর্গাপুর এলাকায় ওই পোশাক কারখানায় কাজ করে প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক। জরুরী শিফমেন্টের জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের কাজ করায়। পরে কারখানার চতুর্থ চলায় শিফটের কাজ করার সময় ওই কারখানার চতুর্থ তলার ওই শ্রমিককে কারখানার ভিতরে ধর্ষণ করে কারখানার ফিনিশিং ইনচার্জ শাহিনুর ও ফ্লোর ইনচার্জ রুবেল হোসেন। ধর্ষণের বিষয়টি ওই নারী শ্রমিক সব শ্রমিককে জানালে শ্রমিকরা ওই দুই কর্মকর্তার গ্রেপ্তারের দাবিতে কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে শ্রমিকদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে এসময় ওই কারখানার ২০ জন শ্রমিক আহত হয়।
পরে আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। পরে আশুলিয়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে কারখানায় গিয়ে ধর্ষণকারী শাহিনুর রহমান সহান (৩০) ও রুবেল হোসেনকে আটক করে।
এ বিষয়ে ওই কারখানার এইচ আর এ্যাডমিন ম্যানেজার জুয়েল জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আজকের জন্য কারখানাটি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ।
লাল মিয়া ভবনের মালিক আজিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন নিজের গার্মেন্টস কারখানার ভিতরে এমন ঘটনা ঘটেছে খুব দুঃখজনক। এ ঘটনায় ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ওসি তদন্ত জাভেদ মাসুদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন ধর্ষণের শিকার ওই শ্রমিককে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টফ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী শ্রমিক কাঠগড়া এলাকায় তাহের এর বাসায় একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে স্বামী সেলিম রেজার সাথে ভাড়া থাকতো। এদিকে কারখানার ভিতরে শ্রমিক গণধর্ষণের শিকার হওয়ায় স্থানীয় শ্রমিকদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।