বাবা মার্ক ও মা ক্রিস্টিনা রোতোন্ডো, তাদের একমাত্র ছেলে মাইকেল। এই একমাত্র ছেলেটি কোনো ধরনের কাজকর্ম না করেই আট বছর ধরে বেকার হয়ে বসে আছেন। এতে বিরক্তির শেষ সীমায় চলে গেছেন বাবা-মা। ছেলেকে বাড়ি ছাড়তে দিয়েছেন নোটিস। তবে ছেলে বাড়ি না ছাড়ায় শেষমেশ আদালতের কাছে গেছেন বাবা-মা।
নিউ ইয়র্কের ক্যামিলাস শহরে ঘটেছে এমন ঘটনা। আদালত রায় দিয়েছে, অর্থ দিয়ে বাবা-মাকে সাহায্য না করলে বাড়িতে থাকতে পারবেনা মাইকেল।
মার্ক ও ক্রিস্টিনা রোতোন্ডোর অভিযোগ করে বলেন, তাদের ছেলে মাইকেল সংসারের কোনো দায়দায়িত্ব নেন না। তার উপরে আট বছর ধরে সে বেকার।
এক বাড়িতে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে ছেলের সাথে কথা বলেন না তারা। গত ফেব্রুয়ারি থেকে মাইকেলকে পাঁচবার বাড়ি ছাড়ার জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছেন তারা। মাইকেল তাতে সারা না দেয়ায় শেষে আদালতে যান বাবা-মা।
এদিকে ছেলেকে দেয়া নোটিসে মার্ক লিখেছিলেন, আমি আর তোমার মা ঠিক করলাম, তোমার আর আমাদের বাড়িতে জায়গা হবে না। তোমার হাতে ১৪ দিন সময় আছে।
মার্কের অভিযোগ, সেই নোটিস পাঠানোর পরেও কেটে গিয়েছে চার মাস। আরও চারটি লিখিত নোটিস গিয়েছে ছেলের কাছে।
মার্ক জানান, মাইকেলকে চাকরি খোঁজার জন্য ১,১০০ ডলার দিয়ে সাহায্যের প্রস্তাবও দেন তিনি। কীভাবে একা থাকতে হবে, সেই পরামর্শও দেন চিঠিতে। যদিও তাতে হেলদোল হয়নি মাইকেলের।
৫ মার্চ শেষ চিঠিতে মার্ক সাফ জানান, এ বার তিনি এমন ব্যবস্থা নেবেন যাতে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হবেন মাইকেল।
মঙ্গলবার আদালত কক্ষে মুখোমুখি হন দুপক্ষ। মার্ক ও ক্রিস্টিনার পক্ষে আইনজীবী থাকলেও নিজের মামলা একাই লড়েন মাইকেল। রায় যায় তার বিরুদ্ধে।
নিউ ইয়র্ক স্টেট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডোনাল্ড গ্রিনউড মাইকেলকে তার বাবার বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেন।