দিনাজপুরের বিরলে স্বামী ও সতীনের অমানুষিক নির্যাতনে গৃহবধূ পারভীন আকতার নিহত হওয়ার ঘটনায় শ্বশুড় রমজান আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর ১২টায় দিনাজপুরের বিরলের ধুলাতৈর সিংপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় স্বামী রেজাউল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
অপরদিকে পারভীনের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার সকালে পৈত্রিক ভিটার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। পারভীন আকতার (৩০) বিরলের পলাশবাড়ী ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ বাদল হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে পারভীনের স্বামী বিরল উপজেলা ধুলাতৈর গ্রামের সিংড়াপাড়ার রমজান আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম (৩৫) এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রী পারভীনের সতীন শিল্পিসহ দুই পরিবারের লোকজন অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে পারভীনকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। পরে তারাই অপ্রচার চালায়, পারভীন ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এসময় এলাকার লোকজন ছুটে এলে বাড়ির লোকজন এবং সতীন শিল্পির বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ পারভীন আকতারের শয়ন কক্ষের বর্গার তীরের সাথে গোলায় উড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে গৃহবধূ পারভীনের লাশ দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই পারভীন আকতারকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে পারভীনের পিতা গ্রামপুলিশ বাদল হোসেন বাদী হয়ে পারভীনের স্বামী-শ্বশুড়-সতীনসহ ১০ জনকে আসামি করে বিরল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলো।
বিরল থানার ওসি আব্দুল মজিদ এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।