ঢাকা: জোরপূর্বক গুমের ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের নীবরতায় তীব্র সমালোচনা করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো। সরকার জোরপূর্বক গুমের ঘটনাগুলোতে চোখ বন্ধ করে রেখেছে। এমনটা অভিযোগ করে অনলাইন দ্য ডিপ্লোম্যাটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে জোরপূর্বক গুমের ঘটনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু রাষ্ট্র তা বার বারই প্রত্যাখ্যান করছে।
ডিপ্লোম্যাটে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ থেকে ১৮ই মে পর্যন্ত জেনেভায় জাতিসংঘের ইউনিভার্সেল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর)-এ বাংলাদেশ সরকার এ অবস্থা নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে সর্বশেষ এই রিপোর্টে জোরপূর্বক গুমের ঘটনা ক্ষমতাসীন বাংলাদেশে সবচেয়ে পুরনো দল আওয়ামী লীগ অস্বীকার করেছে।
ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপের মে মাসের সেশনে ১৪টি দেশের অবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জাতিসংঘ জোরপূর্বক গুমকে ‘হায়েনার মতো অপরাধ’ হিসেবে গণ্য করে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ১৭ কোটি মানুষের এই দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে অনেক ক্ষেত্রেই এমন গুমকে মদত দিয়ে আসার অভিযোগ আছে। কিন্তু ইউপিআরে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে বাংলাদেশ তাতে এ ইস্যুটি উল্লেখও করা হয় নি।
বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুমের গঠনাগুলোকে পূর্ণাঙ্গভাবে এবং এর গভীরে গিয়ে তদন্ত করে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। ইউপিআরে সর্বশেষ যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে বাংলাদেশ তাতে জোরপূর্বক গুলের বিষয়ে সরকারের নীরবতার কড়া সমালোচনা করেছে এইচআরডব্লিউ। এ সংগঠনের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড এডামস বলেছেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী জোপূর্বক গুম, হত্যাকা-, নির্যাতন ও খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তারের সঙ্গে জড়িত। এর বেশির ভাগই ঘটে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। তাই এমন সব গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে নজর দেয়া উচিত এবং এসব ঘটনাকে এড়িয়ে যাওয়ার রীতি বন্ধ করা উচিত। ঢাকাভিত্তিক মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী ড. শাহদিন মালিক বলেছেন, জোরপূর্বক গুমের অভিযোগ ‘ভয়াবহভাবে প্রত্যাখ্যানের’ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভয়াবহভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে মোটেও নজর দিচ্ছে না। এটা উদ্বেগজনক বা এলার্মিং।