ঢাকা: পশ্চিমবঙ্গে কাজী নজরুল ইসলাম ইউনিভার্সিটির সমাবর্তনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাবারের মেনুতে কোনো মাংস রাখা হচ্ছে না। পশুর মৃতদেহ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে তীব্র এক বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই বিতর্কের প্রভাব যাতে শেখ হাসিনার সফরে না পড়ে সে জন্য তার খাবারের মেনু থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাংসই বাদ দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এতে বরা হয়েছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে শনিবার উপস্থিত থাকবেন শেখ হাসিনা। এখান থেকে তাতে দেয়া হবে ডি-লিট ডিগ্রি।
এদিন রাষ্ট্রীয় অতিথিদের জন্য প্রস্তুত রাখা হবে বিশেষ মধ্যাহ্ন ভোজ। এতে থাকবে না কোনো মুরগির বা খাসির মাংস। তবে ওই মধ্যাহ্নভোজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আদৌ কিছু খাবেন কিনা তা পরিষ্কার হওয়া যায় নি। কারণ, এখন পবিত্র রমজান মাস। তা সত্ত্বেও সব আয়োজন রাখা হবে। এদিনের মেনুতে থাকবে বর্ধমানের বিখ্যাত মিষ্টি মিহিদানা ও সীতাভোগ। এ ছাড়া থাকবে কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া ও সর ভাজা। এর সঙ্গে থাকবে বাংলার মাছ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর সাধন চক্রবর্তী বলেছেন, সম্প্রতি মরা পশুর মাংস নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ খাবার মেনুতে আমরা মুরগি বা খাসির মাংস রাখি নি। শেখ হাসিনাকে পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে একটি মেমেন্টো, একটি মসলিন শাড়ি ও বিশ্বদ্যিালয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্বারক। বিশেষভাবে তৈরি করা মেমেন্টোতে থাকবে তারই একটি ফটোগ্রাফ। এগুলো কিনতে পাওয়া যাবে বিশ্ব বাংলার স্টলে। ওদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর গভর্নর কেশরি নাথ ত্রিপাঠি অনুুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতে উপস্থিত থাকবেন কিনা সে বিষয়ে নবান্ন থেকে নিশ্চয়তা পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন তারা।