ভারতের তামিলনাড়ুতে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত হয়েছন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন।
মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর টুইটিকোরিন শহরে জেলা কালেক্টর অফিসের সামনে একটি বিক্ষোভ প্রদর্শনকে কেন্দ্র করে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মার্কিনভিত্তিক একটি তামার কারখানা বন্ধের দাবিতে এদিন রাস্তায় নামে কয়েক হাজার মানুষ। এরপর ১৪৪ ধারা অমান্য করে সেই মিছিল জেলা কালেক্টর কার্যালয়ের দিকে এগোতে থাকলে পুলিশ বাধা দিতে গেলেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা চত্বর। বিক্ষোভকারীদের সাথে রীতিমতো সংষর্ষ বেধে যায় পুলিশের। এক সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে মিছিলে অংশ নেওয়া মানুষেরা ইট-পাথর ছুঁড়তে থাকে বলে অভিযোগ। কেবল তাই নয়, সরকারি গাড়ি ও সম্পত্তি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগও ঘটানো হয় বলে অভিযোগ। এরপর বিক্ষুব্ধ মানুষকে থামাতে প্রথমে লাঠি পেটা, পরে গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। আর তাতেই মৃত্যু হয় ৯ জনের। আহত হয় ৩০ জনেরও বেশি মানুষ।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ওই তামার কারখানা চালু হলে বাতাসে দূষণের মাত্র বাড়বে। ফলে সেই দূষণ থেকে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আর সেই কারণেই ওই কারখানা বন্ধের দাবিতে এদিন মিছিলে পা মেলায় কয়েক হাজার মানুষ। কারখানাটি বন্ধের দাবিতে ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুর ক্ষমতাসীন দল এআইএডিএমকে সরকারকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সক্রিয় উদ্যোগ না নেওয়ার কারণেই এদিন পথে নামতে বাধ্য হয় স্থানীয় মানুষ।
এদিকে, পুলিশের গুলিতে নিহত ও আহতদের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ই.কে.পালানিস্বামী। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ‘এই ঘটনায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে ৯ জনের মৃত্যুতে আমি শোকাহত। বিক্ষোভকারীদের সহিংসতার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছিলেন… এরকম একটি অনিবার্য পরিস্থিতে সাধারণ মানুষের জীবন ও সম্পত্তি বাঁচাতে পুলিশের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া কোন উপায় ছিল না… পুলিশকে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছিল’।
যদিও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এই ঘটনাকে ‘স্টেট স্পনসরড টেররিজম’ বলে মন্তব্য করেছেন।