কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে কোনোভাবেই থামছে না ভারতীয় বন্যহাতির তাণ্ডব। রাতে সীমান্তবর্তী অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষদের হাতির তাণ্ডবের ভয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়।
রোববার (২০ মে) সকাল পর্যন্ত উপজেলা দু’টির সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় বন্যহাতির দল তাণ্ডব চালিয়ে প্রায় ১৪ একর ধান ক্ষেত নষ্ট করেছে।
এর আগে শনিবার (১৯ মে) রাতে আকস্মিকভাবে হামলা চালালে ভারতীয় বন্যহাতির দল। পরে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত আগুন জ্বালিয়ে হাতি তারানোর চেষ্টা করেন গ্রামবাসী।
সীমান্তবাসী সূত্রে জানা যায়, ভারতের কালাইয়ের চর ও বালিয়ামারী বর্ডারহাটের দক্ষিণ দিক দিয়ে শনিবার দিনগত রাতে ৩০ থেকে ৩৫টি ভারতীয় বন্যহাতি রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলার-১০৭৩ এর পাশ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
এসময় হাতির দলটি রৌমারী উপজেলার আন্তর্জাতিক পিলার-১০৭০ থেকে ১০৭৩ পর্যন্ত সীমান্তবর্তী এলাকা বকবান্ধা, খেওয়ারচর, আলগার চর, লাঠিয়াল ডাঙ্গা, পাহারতলী, রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী বাজারপাড়া, আদর্শগ্রাম, ব্যাপারী পাড়া, জালচিড়া পাড়া, মিয়াপাড়া এলাকাজুড়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে প্রায় ১৪ একর ইরি ও বোরো ধানের ক্ষতি করে।
বালিয়ামারী সীমান্তের কৃষক আজিজার রহমান জানান, ভারতীয় বন্যহাতির তাণ্ডবে আমরা অতিষ্ঠ। প্রায় সময়েই রাতের আঁধারে ভারতের পাহাড় থেকে সীমান্ত পেরিয়ে হাতির দল এসে ফসলে ব্যাপক ক্ষতি করে। আমরা গরিব মানুষ কষ্ট করে সামান্য জমিতে ধানসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করি। কিন্তু ভারতীয় বন্যহাতির দল এসে ধানক্ষেত অর্ধেক নষ্ট করে ফেলেছে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপঙ্কর রায় জানান, আকস্মিকভাবে বন্যহাতি প্রবেশ করে তাণ্ডব চালানোর খবর শুনেছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে