গরু জবাইয়ের অভিযোগে ভারতে পিটিয়ে খুন

Slider বিচিত্র

103140_bangladesh_pratidin_riaz

গরু জবাইয়ের অভিযোগে ভারতের মধ্যপ্রদেশে এক সংখ্যালঘু ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম রিয়াজ খান (৪৫), পেশায় দরজি।

প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে রিয়াজের বন্ধু শাকিল মকবুল (৩৮)-কেও। তিনি জব্বলপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটলেও তা প্রকাশ্যে আসে রবিবার। মারধর ও খুনের ঘটনায় চার জন স্থানীয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোরের দিকে সাতনা জেলার আমগারা গ্রামের ভিতর দিয়ে যাচ্ছিলেন রিয়াজ ও শাকিল। সেসময়ই তাদের ওপর চড়াও হয় কয়েকজন স্থানীয় যুবক। তাদের কাছে থাকা একটি ব্যাগ ভর্তি মাংস উদ্ধারের পরই গরু জবাইয়ের অভিযোগে ওই দুইজনের ওপর লাঠি, পাথর ছুড়ে মারধর করা হয়। বেশ কয়েকঘণ্টা পড়ে থাকার পর সাতনার জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে রিয়াজকে মৃত বলে ঘোষনা দেয় চিকিৎসকরা। স্ত্রী এবং তিনটি সন্তান রয়েছে সিরাজের।

রিয়াজকে হত্যা ও নিগ্রহের অভিযোগে আটকরা হলেন পবন সিং গোন্ড, বিজয় সিং গোন্ড, ফুল সিং গোন্ড এবং নারায়ণ সিং গোন্ড। অভিযুক্ত পবন সিং পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, গ্রামে গরু হত্যার সঙ্গে জড়িত রিয়াজ ও শাকিল। ওই দিন তাদের কাছ থেকে গরুর মাংস উদ্ধার করা হয় এবং তাদেরকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখনই রিয়াজ ও শাকিল ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করলে পড়ে গিয়ে আহত হন। রিয়াজ ও শাকিলকে নিগ্রহের ঘটনায় তারা জড়িত নন।

পবন সিং’এর অভিযোগের ভিত্তিতেই রিয়াজ ও শাকিল-এর বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের মধ্যপ্রদেশ গরু-হত্যা আইন অনুযায়ী এফআইআর করেছে পুলিশ।

স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা অরবিন্দ তিওয়ারি জানান, আমরা চার ব্যক্তিকে আটক করেছি এবং আদালতের নির্দেশে তাদেরকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তাদের ওপর হামলা হয়েছে তার তদন্ত চলছে। ঘটনাস্থল থেকে মাংস এবং মৃত পশু উদ্ধার করা হয়েছে।

অন্যদিকে সাতনা জেলার পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার হিঙ্গনকর জানান, আমগারা গ্রাম থেকে দুইটি জবাই করা গরুর মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের তরফে দায়ের করা এফআইআর’এর ভিত্তিতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শাকিলকে গ্রেফতার করা হবে।

যদিও শাকিল পরিবার থেকে গোহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশে গোহত্যা প্রমাণিত হলে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার রুপি জরিমানার আইন রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *