গতকাল শনিবার ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসে অনন্য এক জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে পরস্পরের জীবনসঙ্গী হলেন প্রিন্স হ্যারি ও মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেল। সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও অভিজাত ৬০০ অতিথির উপস্থিতিতে পরস্পরকে বিয়ের বন্ধনে জড়ালেন তারা। রাজপরিবারের এই নতুন দম্পতি এখন থেকে পরিচিত হবেন ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্স হিসেবে।
বিয়েতে ৬০০ অতিথির মাঝে থমথমে মুখে উপস্থিত ছিলেন চেলসি ডেভিস নামে এক নারী। তিনি প্রিন্স হ্যারির প্রাক্তন গার্লফ্রেন্ড।
বেশ কয়েক বছর ধরে প্রিন্স হ্যারি ও চেলসির মাঝে প্রেম ছিল। এমনকি ২০১১ সালে উইলিয়াম ও কেটের বিয়েতে তিনি হ্যারির সঙ্গে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।
এরপর উভয়ের সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে। বিয়েও করেননি তারা। কিন্তু এখন তাদের মাঝে কোনো শত্রুতা নেই। তারা পরস্পরের বন্ধু হিসেবেই রয়েছেন। আর এজন্যই হ্যারি তার বিয়েতে আমন্ত্রণ জানান চেলসিকে।
সে যাই হোক না কেন, আমন্ত্রণ পেয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে খুব যে আনন্দের সঙ্গে চেলসি সময় কাটাননি তা বোঝা গেছে তার ছবি দেখে। অনেকেই অনলাইনে তার ছবি পোস্ট করে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে ব্রিটিশ রাজবধু মেগান মার্কেল আগে বিয়ে করেছিলেন ট্রেভর এঙ্গেলসনকে। তবে গত কয়েকদিন ধরে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, সবার মনোযোগ যখন যুবরাজ হ্যারি ও মেগান মার্কেলের ওপর তখন চোখ এড়াতেই তিনি নিরুদ্দেশ হলেন।
মেগানের সাবেক স্বামী পেশায় একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে। শনিবার যখন লন্ডনে হ্যারি ও মেগানের বিয়ের সব ঠিকঠাক, তখন যুক্তরাষ্ট্রে গণমাধ্যম খুঁজেও পাচ্ছে না ট্রেভরকে। কোথায় তিনি- খোঁজ নিয়ে ইউএস উইকলি জানতে পেরেছে, ছুটি নিয়ে অন্য কোনো দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ট্রেভর। সম্ভবত দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দেশে লোকচক্ষুর অন্তরালে সময় কাটাচ্ছেন।