সৌদি আরবের আকাশে মঙ্গলবার (১৫ মে) পবিত্র মাহে রমজানের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ মে) থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রোজা শুরু হবে। মঙ্গলবার রাতে সৌদি বাদশার উপদেষ্টা তুর্কি আল শেইখ আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
সাধারণত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর একদিন পরই বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা যায়। ফলে রোজা ও ঈদ পালন হয় একদিন ব্যবধান রেখে।
আল আরাবিয়া টিভি জানিয়েছে, সৌদি আরবের কোনো স্থানে চাঁদ দেখা যায়নি। এজন্য বৃহস্পতিবার থেকে রোজা শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি সরকার। এদিন, সৌদি আরবের আকাশের কোথাও রমজান মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হলো। সে হিসেবে বৃহস্পতিবার থেকে রমজান মাসের তারিখ গণনা শুরু হবে।
গালফ টাইমস ও খালিজ টাইমস এর রিপোর্টে বলা হয়, কাতার, আমিরাত,লেবানন, বাহরাইন, জাপান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, জর্ডান,দ.কোরিয়া,সিঙ্গাপুর,অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশ বৃহস্পতিবার রমজান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।রমজানে এক মাস সংযমের পর মুসলমানরা শাওয়ালের চাঁদ দেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন।
এদিকে পবিত্র মক্কার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রবাসী বাংলাদেশী জননেতা ফেরদৌস চৌধুরী মিঠু জানান,রমজান মাসে ইবাদত-বন্দেগি সুন্দর-সুশৃঙ্খল ও নিরবচ্ছিন্ন করতে মক্কার হারাম শরীফ, মদিনার মসজিদে নববীসহ অন্য মসজিদগুলোতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
রোজাদারদের ইফতার করাতে মসজিদের পাশে ছোট-বড় তাবু টাঙানো হয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করে রোজাদারদের জন্য বিভিন্ন সড়কের গুরুত্বপূর্ণ সিগনালগুলোতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ইফতারির প্যাকেট বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মিঠু বলেন,রমজান উপলক্ষে সৌদি আরবের সুপার মার্কেটগুলো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রে মূল্য ছাড় দিয়েছে।