সময়টা ১৯৭০ সালের। আমেরিকার আলোচিত ওয়াটার গেইট কমিটির এক ক্ষুদে আইনজীবী তিনি। এক রাতে গাড়িতে চড়ে কমিটির প্রধান বার্নাড নুসাবাম এর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। বাসায় প্রবেশের আগে গাড়ির ভিতরেই বার্নাডকে বলছিলেন, “আমি আপনাকে আমার এক বয় ফ্রেন্ডের সঙ্গে পরিচয় করে দিতে চাই।‘বার্নে’ তিনি কিন্তু পরবর্তী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।” সে সময়কার পরিস্থিতির জন্য দারুণ চাপে ছিলেন নুসাবাম।
অপরদিকে তার জুনিয়র এক আইনজীবীর এমন সহজসরলভাবে করা অপরিণামদর্শী মন্তব্যে তিনি হতচকিত হয়ে গেলেন। এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম তিনি আর কেউ নন। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্ত্রী, সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটনের কথা।
হিলারির মন্তব্য শুনে অনেকটা চিৎকার করে নুসবাম বললেন, “হিলারি, যেটা বলছো সেটা একটা বড় ধরনের অভদ্রতা।”
হিলারিও পাল্টা সুরে বললেন, “আপনি যেভাবে কথা বলছেন, সেটার কিছুই আপনি জানেন না।”
নুসবাম বললেন, “ও গড, হিলারি আমাকে এখন দেখছি তিরস্কার করা শুরু করল।” এ কথার পরই হিলারি গাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেন এবং বাসার দরজা খুলে রাগের মুখেই নুসাবাম এর মুখের উপর দরজা বন্ধ করে ভিতরে ঢুকলেন।
পরের ইতিহাসতো সবারই জানান। হিলারিই তার কথা ও কাজে সফল হয়েছিলেন। তিনি তার প্রত্যাশিত বঢ ফ্রেন্ড হিলারি ক্লিনটনকেই বিয়ে করেছিলেন। যার স্বামী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। আর স্বামীর হাত ধরেই হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করলেন তিনি। তবে সামনে যে সময়টা অপেক্ষা করছে তাতে হয়তো স্ত্রী হিসেবে নয় নিজেদের জনপ্রিয়তা দিয়েই হোয়াইট হাউসের কর্তৃত্ব নিতে যাচ্ছেন হিলারি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ২০১৬ সালের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। নারীদের বিশ্বব্যাপী অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্চেন হিলারি। ক্লিনটনের প্রচারণাতেও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রচারণাতেও সমর্থন যুগিয়েছেন তিনি।
আমেরিকার কোন প্রেসিডেন্টই এখনো হিলারি মতো এমন সহযোগি ও যোগ্য ব্যক্তিত্ব পায়নি। পরিসংখ্যানতো তাই বলছে।