রমজানে গরুর গোশতের কেজি ৪৫০ টাকা, খাসি ৭২০

Slider বিচিত্র

318406_183

আসন্ন মাহে রমজান উপলক্ষে গোশতের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সোমবার দুপুরে নগর ভবনে গোশত ব্যবসায়ীদের সাথে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় দেশি গরুর গোশত কেজি প্রতি ৪৫০ টাকা এবং খাসির গোশত ৭২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সভায় মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কোনো ব্যবসায়ী নির্ধারিত দাম না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। গোশতের দাম যাতে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেজন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। মেয়র বলেন, এর আগের এক সভায় ব্যবসায়ীরা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন গত রমজানের তুলনায় এ রমজানে পণ্যের দাম কম থাকবে। আপনারা গোশতের দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখবেন। গোশতের গুণগত মান ঠিক রাখবেন এবং ওজনে কম দেবেন না।

সভায় বিদেশি ও বোল্ডার গরু কেজি প্রতি ৪২০ টাকা, মহিষ ৪২০ টাকা এবং ভেড়া ও ছাগীর গোশত ৬০০ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়। গত রমজানে গরুর গোশত কেজি প্রতি ৪৭৫ টাকা ও খাসি ৭২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি গোশতের দাম কমে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় গরুর গোশত ২৫ টাকা এবং খাসি ৫ টাকা কম দর নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া গত রমজানে বিদেশি ও বোল্ডার গরু ৪৪০ এবং মহিষ ৪৪০ টাকা দর নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ বছর কেজিতে তার থেকে ২০ টাকা কমেছে।
একইভাবে ভেড়া ও ছাগীর গোশত গত বছর ৬২০ টাকা থেকে এবার ২০ টাকা কমিয়ে ৬০০ টাকা করা হয়েছে। সুপার শপগুলোতেও একই দামে গোশত বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে ডিএসসিসি। মেয়র বলেন, সাধারণত আমাদের নির্ধারণ করা দামেই উত্তর সিটি করপোরেশনসহ সারাদেশেই মেনে চলা হয়। তবে এ দাম ২৬ রমজান পর্যন্ত চালু থাকবে বলেও জানান মেয়র।

সভায় বাংলাদেশ গোশত ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, সিটি করপোরেশন নির্ধারিত দামেই ব্যবসায়ীরা গোশত বিক্রি করবেন। তবে তিনি জানান, ডিএসসিসি এলাকায় বর্তমানে জবাইখানা নেই। পুরাতন জবাইখানা ভেঙ্গে ফেলায় সংকট তৈরি হয়েছে। আধুনিক জবাই খানা নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রজমানের আগেই অস্থায়ী দুটি জবাইখানা নির্মানের দাবি জানান তিনি। রবিউল আলম অভিযোগ করেন, গাবতলী গরুর হাটে অন্যায়ভাবে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হয়। গরু ব্যবসায়ীদের বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়।
এ ব্যাপারে উত্তর সিটি করপোরেশনকে অসংখ্য অভিযোগপত্র দেয়ার পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কর্মকর্তারা কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছেন। এসময় তিনি ডিএসসিসি এলাকায় একটি স্থায়ী পশুহাট স্থাপনের দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *