ঢাকা: গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গুলি আর বোমায় কমপক্ষে ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আনুমানিক ১৭০০। ইসরাইলের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে বিভিন্ন পয়েন্টে ফিলিস্তিনি প্রতিবাদকারীদের টার্গেট করে তাজা গুলি, বোমা আর টিয়ারগ্যাস ছুড়ছে ইসরাইলি সেনারা। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে আহত ১৬৯৩ জনের মধ্যে ৭৪ জনের বয়স ১৮’র নিচে, ২৩ জন নারী এবং ৮ জন সাংবাদিক।
খবরে বলা হয়. জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ফিলিস্তিন। সোমবার সকাল থেকেই ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ইসরাইলের কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রমের চেষ্টা করে ফিলিস্তিনিরা।
১৯৪৮ সালে যেসব স্থান থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক যেসব স্থান থেকে উৎখাত করা হয়েছিল সেখানে তাদেরে ফিরে যাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বানে এ আন্দোলনে প্রতিবছর যোগ দেয় ফিলিস্তিনিরা। কয়েক সপ্তাহজুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলে। আজ কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি রাজপথে নামেন। স্থানীয় এক সাংবাদিক আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, গত ৭ সপ্তাহের প্রতিবাদের তুলনায় আজ যে পরিমান মানুষ রাস্তায় নেমেছে তা নজিরবিহীন।
১৯৪৮ সালের ১৫ই মে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিনকে নাকবা বা বিপর্যয় হিসেবে পালন করে ফিলিস্তিনিরা। ওই দিন হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে তাদের নিজেদের গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল।
এই আন্দোলনের একই সময়ে তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর ফিলিস্তিনিদের ক্ষোভ উস্কে দিয়েছে। গেল ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। একই ঘোষণায় তাদের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের পরিকল্পনাও জানায়।
সেই ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এতে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে ফিলিস্তিনজুড়ে। গাজা উপত্যকা ছাড়াও দখলিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা ও হেব্রন শহরেরও প্রতিবাদ করছেন ফিলিস্তিনিরা।
উল্লেখ্য, ৩০শে মার্চ প্রতিবাদ, বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি বাহিনী কমপক্ষে ৬৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আর ইসরাইলি আগ্রাসনে আহত হয়েছে সাড়ে আট হাজারের বেশি।