ঢাকা:হেফাজতে ইসলামের আমীর ও কওমী মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা শফি আহমেদের কাছে দোয়া চাইলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ১৪দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম।
এ জন্য শনিবার রাতে তিনি এয়ারপোর্টে হাজির হন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যেতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজির হন হেফাজতের আমীর শফি আহমেদ। এর কিছুক্ষণ পরই এয়ারপোর্টে হাজির হন মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর। কুশল বিনিময়ের পর জাহাঙ্গীর গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হেফাজতের কাছ থেকে পুনরায় সমর্থন চান। এর বিপরীতে শফি আহমেদ জাহাঙ্গীর আলমের জন্য আশীর্বাদ করেন।
গাজীপুর সিটি মেয়র প্রার্থী দীর্ঘ সময় হেফাজতে ইসলামের আমীরের পাশে সময় কাটান। এর আগে সর্বশেষ ২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ওই সময়ে বিএনপি দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী এম এ মান্নানের পক্ষে প্রকাশ্যে মাঠে নামে হেফাজতে ইসলাম। হেফাজত কর্মীরা ওই সময় মেয়র মান্নানের পক্ষে প্রচারণা চালান ও ভোট চান। শেষ পর্যন্ত মেয়র প্রার্থী এম এ মান্নান বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। ওই চিন্তা মাথায় রেখে মনে করা হচ্ছে এবারও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অরাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তার করবে হেফাজতে ইসলাম। এ কারণে হেফাজতের আমীরের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয় জোট দুই পক্ষ থেকেই যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এদিকে নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ১৫ই মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত। এখানে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। গত ৬ই মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত শিমুলিয়া এলাকার এক ব্যক্তির রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ নির্বাচনে তিন মাসের স্থগিতাদেশ দেয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার ও অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম স্থগিতের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন তাদের আপিল আবেদন জমা দেয়। এর ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আগামী ২৮শে জুনের মধ্যে নির্বাচন শেষ করার নির্দেশ দেন। এখনো পর্যন্ত নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। এর আগেই হাসান উদ্দিন সরকার ও অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম নতুন মেরূকরণের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। হেফাজতে আমীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ মেরূকরণের অংশ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।