ভ্রূণ বেড়ে উঠছিল সেলাইয়ের ওপর, অতঃপর…!

Slider বিচিত্র

085251_bangladesh_pratidin_bdp_Pregnant-Woman

দ্বিতীয় সন্তান আসার অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন এক গর্ভবতী নারী৷ কিন্তু বুঝতেই পারনেনি ত্নি কি ভয়াবহ অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে তার জন্য। কেননা, দ্বিতীয় সন্তানের সেই ভ্রূণ বেড়ে উঠছিল না তা গর্ভে৷ সেই ভ্রূণ বেড়ে উঠছিল প্রথম সন্তান প্রসবের সময় সিজারের সেলাই বরাবর৷

প্রাণঘাতী এই পরিস্থিতি যখন ধরা পড়ে, ততদিনে সেই নারীর পেটের ভিতরে রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে গেছে প্রবল ভাবে৷ প্রাণ সংশয় হলেও কলকাতার বাসিন্দা খড়্গপুরের ইতিশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে অবশ্য সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছেন চিকিৎসকরা৷ অপরিণত ভ্রূণ বের করে প্রাণরক্ষা করা হয়েছে বিরল ‘এক্টোপিক স্কার প্রেগন্যান্সি’র শিকার ইতিশ্রীর৷

প্রথম সন্তানের ছ’বছরের মাথায় দ্বিতীয়বার গর্ভধারণ করেছিলেন ইতিশ্রী৷ প্রথমে আপাতভাবে সব ঠিকই ছিল৷ মাঝে মধ্যে রক্তপাত হলেও এড়িয়ে গিয়েছিলেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ৷ সমস্যা আচমকাই বেড়ে যায় গর্ভাবস্থার ১১ সপ্তাহের মাথায়৷ এপ্রিলের মাঝামাঝি হঠাৎই তলপেটে প্রবল ব্যথা শুরু হয় তার৷ ১৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয় রক্তপাত৷

দ্রুত নিজের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে ছুটে যান প্রসূতি৷ ইতিশ্রীর স্বামী জানান বলেন, ‘চিকিৎসক দেখেই জানান, উপসর্গ ভালো নয়৷ আলট্রাসোনোগ্রাফির পরে ট্রান্স ভ্যাজাইনাল স্ক্যান (টিভিএস)-এ গত ২৩ এপ্রিল এক্টোপিক স্কার প্রেগন্যান্সি ধরা পড়ে৷’

জরায়ুর বাইরে স্ত্রী জননতন্ত্রের যে কোনও অংশে ভ্রূণ বেড়ে উঠতে থাকলে তাকে এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি বলে৷ শতকরা ২ জন প্রসূতির এমন গর্ভাবস্থা দেখা যায়৷ চিকিৎসকেরা জানান, সঠিক সময়ে ভ্রূণ বের করা না হলে এতে প্রসূতির মৃত্যু অনিবার্য৷

ইতিশ্রীর ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় বড় ধরনের বিপদ এড়ানো গিয়েছে৷ দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে ওই রাতেই অস্ত্রোপচার হয় তার৷ বিশেষজ্ঞদের টিম ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় রক্তপাত কমিয়ে বের করে আনেন ভ্রূণটিকে৷ সেই সঙ্গে ইতিশ্রীর জরায়ুও বাঁচাতে পেরেছেন চিকিৎসকরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *