ঢাকা: মহাকাশে সদ্য উৎক্ষেপণ করা ‘বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট’-এর মালিকানা দুই ব্যক্তির কাছে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ওটার মালিকানা চলে গেছে জানেন তো? এই স্যাটেলাইটের মালিকানা চলে গেছে দুজন লোকের হাতে এবং সেখান থেকে আপনাদেরকে কিনে নিতে হবে।
মহাকাশে এই কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর বিষয়ে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্যাটেলাইট। ঠিক আছে ঘুরুক। এটা আগে ঘুরুক, ওটা আবর্তন করুক পৃথিবীতে। পরিক্রমা করুক তখন দেখা যাবে।
উল্লেখ্য, ভোররাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপণ হয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেস এক্সের মাধ্যমে। মহাকাশে উগগ্রহ পাঠানোর তালিকায় ৫৭তম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান।
আবারো আলোচনার আহ্বান জানিয়ে সরকারকে উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে আলোচনা করুন। দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন। তার সঙ্গে কথা বলুন এবং নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে ব্যবস্থা করুন। এছাড়া নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় গুন্ডাবাহিনী ঠেকানোর জন্য সেনা বাহিনী মোতায়েন করুন। যাতে করে নির্বাচনে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে এবং সঠিক উত্তর ও রায় পাওয়া যায়। তাইলে অবশ্যই দেশে গণতন্ত্রের সুবাতাস বইবে এবং মানুষ স্বস্তি ফিরে পাবে।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হয়ে কিভাবে সরকার অন্য দেশের সাথে চুক্তি করে তার বৈধ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভারতের সাথে পাঁচটি প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরে বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, অনেক চুক্তি হচ্ছে। এই চুক্তি করার অধিকারটা তাকে কে দিয়েছে? কারণ এই পার্লামেন্ট তো নির্বাচিত নয়। জনগণের পক্ষে যত চুক্তি করেন আপনি, সেই চুক্তি তো জনগণের চুক্তি নয়। সব চুক্তিগুলো আমরা দেখবো। যেমন মিয়ারমারের চুক্তি করেছে একটা লোকও যেতে পারেনি। যেটা আমার সবচেয়ে বেশি দরকার সেই তিস্তার পানি চুক্তি এখন পর্যন্ত হয় নাই। আজকে বছরের পর বছর ভারত তাদের এতো ভালো বন্ধু সেই চুক্তি হয়নি।
বিএনপির চেয়ারপারসন হিসেবে বেগম জিয়ার গতকাল ৩৪ বছর পূর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে এই ৩৪ বছর পূর্ণ হওয়ার দিনে তিনি কারাগারে! সরকারকে বলতে চাই জনগণই দেশের মালিক। আর জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা তা পূরণ করার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় দেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিএনপির চিকিৎসক সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তি দাবি এবং কর্মস্থলে যাবার পথে ডা. সামীউল আলম সুহানের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রতিবাদে এই সভা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আবদুল মান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ড্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যলয়ের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের সভাপতি সেলিম ভুঁইয়া প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।