ঢাকা: খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী কাজ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর আয়োজনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ডা. শামীউল আলম সুহান এর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি একথা বলেন। মির্জা আলমগীর বলেন, খুলনায় বিএনপির প্রার্থী বলছেন আমার একজন কর্মীও কাজ করতে পারছেন না। যাকে এজেন্ট নিয়োগ করা হবে সে বাসায় থাকতে পারছেন না। সিইসিকে ফোন করেছিলাম তিনি বললেন- সেখানে কি হচ্ছে তা আমি ঠিক জানিনা। এর পর একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে ফোন করলাম।
তিনি বললেন, যারা এগুলো করছে ওরা অতি উৎসাহী। আবার নির্বাচন কমিশন বলছে খুলনার নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটা সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আমার ৭০ বছর বয়সে এখনের মতো এতো অত্যাচার নির্যাতন জীবনেও কোনদিন দেখিনি।
মির্জা আলমগীর বলেন, সত্যিকার অর্থেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সংবিধান আমাদের যে অধিকার দিয়ে রেখেছে সেগুলো প্রতিষ্ঠা করতে হবে। খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। সেখানে তার জামিনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে জামিন শুনানির সময় এ্যাটর্নিকে একজন বিচারপতি জিজ্ঞেস করলেন এমন একটা মামলা দেখান যেখানে হাইকোর্ট জামিন দেয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট আটকে দিয়েছে। তিনি দেখাতে পারেননি। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। সবার আগে দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। কারণ তিনি গণতন্ত্রের প্রতীক। এরশাদের সময় গণতন্ত্রের জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন। সমাবেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকার ভয় পেয়েছে। তার চেয়ে বেশি চিন্তিত সরকারকে পরামর্শদাতা ভারত। তারা দেখছে বাংলাদেশের জনগণ শত্রু চেনা শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ ভারতের পরামর্শে যা করছে সব কিছু আমলনামায় লেখা হয়ে যাচ্ছে। এই জন্য তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ অন্যায় বেশি দিন টেকে না। অধ্যাপক ডা. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হাসান, গণস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া প্রমুখ।