ময়মনসিংহ চরাঞ্চলের চাঞ্চল্যকর কাশেম হত্যা মামলার আসামি আলমগীর হোসেন (৩০) জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। অন্যদিকে গ্রেফতারের পর সিরাজুল নামের এক ছিনতাইকারী কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটা ও শনিবার ভোররাতে এ ঘটনা দুটি ঘটে।
ডিবি পুলিশের এসআই পরিমল দাস জানান, শুক্রবার গোপালগঞ্জ জেলা থেকে ডিবি পুলিশ আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করে। পরে দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তাকে নিয়ে ময়মনসিংহের শহরতলীর জয়বাংলা বাজারে অভিযানে যায় ডিবি। এ সময় অন্য পলাতক আসামি সিদ্দিকসহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন পুলিশের উপর ইট পাটকেল, গুলিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়ে। এসময় আলমগীর কৌশলে পালাতে চাইলে গোলাগুলির মাঝখানে পরে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলমগীরকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের দু’জন আহত হয়েছেন। তারা পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সিরাজুল (২৪) নামের এক ছিনতাইকারী নিহত হয়েছে। শনিবার ভোররাত ৪টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর জিলা স্কুলের পাশে এ ঘটনা ঘটে। তাকে নিয়েও পুলিশ অভিযানে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ওসি তদন্ত শাকের আহমেদ।
তিনি জানান, শুক্রবার ভোরে সানকিপাড়া এলাকায় জিলা স্কুলের শিক্ষক মোমেন মোর্শেদ মিল্কীকে ছুরিকাঘাত করে সিরাজী। এ ঘটনায় তাকে শুক্রবার আটক করে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।