ব্যাট হাতে বল বেশি ব্যায় করলেও ছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ইনিংসের অন্যতম নায়ক। ৩২ বলে ৩৫ রান করাই নয় শুধু, কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের ৬৪ রানের জুটিই মূলত সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জয়ের ভিত গড়ে দেয়।
তবুও উপ্পলের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে মাত্র ১৪৬ রান খুব বড় কিছু ছিল না বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর সামনে। স্বল্প পুঁজিকে কীভাবে দলের জয়ের জন্য বড় হাতিয়ারে পরিণত করা যায়, সেটা দেখিয়ে দিলেন সাকিব আল হাসান।
২ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। তার অসাধারণ অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ব্যাঙ্গালুরুকে শেষ পর্যন্ত মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
সাকিবদের ছুঁড়ে দেয়া ১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রানে থেমে যায় ব্যাঙ্গালুরুর ইনিংস। সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ২০ রান করেন পার্থিব প্যাটেল। এবি ডি ভিলিয়ার্স আউট হয়ে যান মাত্র ৫ রান করে। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম করেন ২৯ বলে ৩৩ রান।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রানের। ভুবনেশ্বর কুমারের কাছ থেকে নিতে পারলো কেবল ৬ রান। মানদ্বীপ সিং আর কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম উইকেটে থাকলেও পারেনি জয় তুলে নিতে।
এই জয়ের ফলে ১০ ম্যাচ শেষে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চেন্নাই সুপার কিংস। পঞ্চম স্থানে থাকা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পয়েন্ট ৮।
তারা বাকি ৪ ম্যাচ জিতলেও পয়েন্ট হবে ১৬। কিন্তু, রান রেটের হিসেবে নিশ্চিত পিছিয়ে থাকতে হবে। অন্যদিকে বাকি ৪ ম্যাচেই হারতে হবে হায়দরাবাদকে। যেটা আপাত দৃষ্টিতে অসম্ভব।