চিড়িয়াখানার বাঘের উচ্ছিষ্ট মাংসও চলে আসে বাজারে!

Slider সারাবিশ্ব

ba

কলকাতা ও আশপাশের ভাগাড় থেকে সংগৃহীত মরা পশুর মাংস শহরতলি ও শহরতলির রেস্তোরাঁ, হোটেল বা ছোটখাটো ডিপার্টমেন্টাল স্টোরেই নয়, সীমান্ত পেরিয়ে তা পৌঁছে যায় নেপালে। এ খবর নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই নতুন করে প্রশ্নচিহ্ন চিড়িয়াখানার মাংস নিয়ে!

জানা যায়, ভারতের আলিপুর চিড়িয়াখানার বাসিন্দা মাংসাশী পশুদের জন্য প্রতিদিন দেড়শ’ কেজির বেশি গবাদি পশুর মাংস কেনে থাকে।কিন্তু সেই মাংসের সবটা খেয়ে উঠতে পারে না বাঘ-সিংহ। বাকি উচ্ছিষ্ট মাংস কী হয়?

চিড়িয়াখানার মাংস সম্পর্কে খোঁজ নিতে গতকাল শুক্রবার সেখানে গিয়েছিল কলকাতা পুরসভার প্রতিনিধি দল। মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানান, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলেছেন- বাঘ-সিংহের খাওয়ার পরে প্রতিদিন ২০-২৫ কেজি মাংস পড়ে থাকে। ‘‘সেই মাংস রামপ্রীত দাস নামের সল্টলেকের এক বাসিন্দা নিয়ে যান বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন,’’ বলেন অতীনবাবু।
মাছের খাবার হিসেবেই ওই মাংস ব্যবহার করা হয় বলে রামপ্রীত চিড়িয়াখানাকে জানিয়েছেন। কিন্তু শুধু মুখের কথায় সেটা বিশ্বাস করতে পুরসভার প্রতিনিধিদল নারাজ। মাংস সত্যি সত্যি কোথায় যায়, তার খোঁজ পেতে টিম গঠন করেছেন তারা।

ভাগাড়ের মাংস মানুষের পাতে যাচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে খোঁজ নিতে চিড়িয়াখানা লাগোয়া এলাকার রেস্তরাঁ, খাবার দোকানে অভিযান চালায় পুরসভা। পুরসভার দলটি এর পর যায় চিড়িয়াখানার অধিকর্তার কাছে। আলোচনায় ওঠে মাংসের প্রসঙ্গ।
অতীনবাবুর দাবি, বাঘ-সিংহপিছু প্রতিদিন ৮-১০ কেজি মাংস লাগে বলে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। ৬-৭ কেজি ওরা খায়। বাকিটা পড়ে থাকে। সেই মাংসই নিয়ে যান রামপ্রীত। সে জন্য তিনি কোন রুপি দেন না। উল্টা চিড়িয়াখানাই তাকে মাসে ২৬০০ রুপি দেয়।
এ ব্যাপারে আর জানতে রামপ্রীতের ঠিকানা পেলেও ফোন নাম্বর পায়নি পুরসভা। তার সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা যায়নি। সূত্র: আনন্দবাজার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *