স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর অফিস: গাজীপুর সিটি নির্বাচনের আর মাত্র ৯দিন বাকী। প্রচারণা চলছে। সরকারী দলের প্রার্থীদের উচ্ছাস আর সরকার বিরোধী দলের প্রার্থীদের শংকার মধ্যেই প্রচারণা এখন তুঙ্গে। ড়ত ২৪ ঘন্টায় নাশকতা মামলায় জড়িত থাকায় মোট ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ১জনকে ছেড়ে দেয়ার গ্রেফতার হয়েছেন ৩জন।
ধানের শীষের মিডিয়া সেলের প্রধান ডা: মাজহারুল আলম মন্ডল জানান, গতকাল সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগর জিয়া পরিষদের নেতা আশরাফ হোসেন টুলু, কিছুক্ষর পর ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম উজ্জ্বল, রাতে টঙ্গী থানা যুব দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ফারুক, ও গাজীপুর সদরের কানাইয়া গ্রাম বিএনপির সভাপতি আঃ ছোবাহান কে আটক করেছে পুলিশ। তবে গভীর রাতে ছাত্র দল নেতা উজ্জ্বলকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী আগেই প্রচারণায় নেমেছন। পরে তার একমাত্র কন্যা বাবার লিফলেট হাতে নিয়ে প্রচারণায় নামে। এখন প্রার্থীর মা ও পরিবারের অন্য সদস্যরাও মাঠে নেমেছেন প্রচারণায়। সরকারী দলের প্রার্থী হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দ ও উচ্ছাসের মাধ্যমে প্রচারণা করছেন জাহাঙ্গীর আলম।
অপর দিকে গ্রেফতার ও হয়রানীর ভয় নিয়ে মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থীর লোকজন। নিরাপত্তার কারণে রাতে তারা বাসায় থাকছেন না।
ভয় ভীতি সম্পর্ক গতরাতে একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলকে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, গাজীপুরে ৪০টি নির্বাচন হয়েছে এবং সব গুলো সুষ্ঠু হয়েছে। এই নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে। গ্রেফতার ও হয়রানীর বিষয় অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, কাউকে হয়রানী করা হচ্ছে না। মাদক ও নাশকতার আসামী গ্রেফতার করা হচ্ছে আর এটা রুটিন কাজ। যা করা হচ্ছে তা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, কেউ পুলিশ দেখে পালিয়ে গেলে আমাদের কিছু করার নেই।
সাধারণ ভোটারা বলছেন, নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে হলে ভয় ভীতিকে দূর করতে হবে। তা না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। আর সেটার জন্য প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। তবেই একটি সুন্দর নির্বাচন সম্ভব।