খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে বা বাধা দিয়েছে এমন কোনো তথ্য তারা পাননি বলে জানিয়েছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
বৃহস্পতিবার এই দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছে। মূলত দুটি বিষয়ে বিএনপি কথা বলেছে। বিএনপির ভাষায় বুধবার খুলনায় পুলিশের অভিযানে দলটির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিইসি বলেন, বিএনপি খুলনার পুলিশ কমিশনার ও গাজীপুরের পুলিশ সুপারের প্রত্যাহার চেয়েছে।
তিনি প্রতিনিধি দলকে বলেছেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে তাঁর বসতে হবে। অল্প সময়ে তাদের প্রত্যাহার করা যুক্তিসংগত মনে হলে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হবে। আর যদি সবাই সম্মত হয় যে এখন দরকার নেই, তাহলে তাদের প্রত্যাহার নাও করা হতে পারে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর নির্বাচন কমিশনারেরা নিজেরা আলোচনা করেছেন। তাঁরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন, দেখবেন অভিযোগ সত্য কি না।
বিএনপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, খুলনায় একটি হোটেলে বিদেশি নাগরিক ছিলেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য হোটেলে পুলিশ পাহারা ছিল। ঘটনাচক্রে সেখানে বিএনপির নেতারাও ছিলেন।
এর আগে বৈঠক থেকে বের হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা খুলনার পুলিশ কমিশনার ও গাজীপুরের পুলিশ সুপারের (এসপি) প্রত্যাহার চেয়েছেন।
পরিস্থিতি এত দিন স্বাভাবিক থাকলেও গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে গত কয়েক দিন ধরে হঠাৎ করে নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। খুলনায় দলের ১৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুলনা ও গাজীপুরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। প্রচার কাজে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে বিএনপি উদ্বিগ্ন। এ জন্য তারা ইসিতে এসেছেন।
বিএনপির প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ ও যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দীন।