ঢাকা:আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি না এলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মতো রাজনৈতিক দলের অভাব নেই। নির্বাচনে না এলে জোর করে আনব?’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অবশ্যই বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। নির্বাচনে না এলে জোর করে আনব? নির্বাচন তাদের অধিকার। এটা সরকারের দয়ার দান নয়। তাদের ডেকে আনতে হবে কেন? খালেদা জিয়া জেলে থাকাকালে নির্বাচনে না এলে সেটা তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। দৃশ্যত খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনও করতে পারছে না। তাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই, তবে বিএনপির আন্দোলনে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। নয় বছরে নয় মিনিটও তারা রাস্তায় দাঁড়াতে পারেনি। জনগণ সাড়া দিলে আন্দোলন হতো।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানোর বিষয়ে আওয়ামী লীগের কোনো প্রচেষ্টা নেই। তাদের নিজেদের মধ্যে সমস্যা আছে কি না, তা আগামী দিনে পরিষ্কার হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনা আইনগত বিষয়। বিদেশে পলাতক থাকাদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকারের একটা তাগিদ থাকে। বিএনপি কি চায় তারেক রহমান দেশে ফিরে আসুক? বিএনপির সব নেতা কি চান? তাদের গডফাদাররা এক রকম, সিনিয়র নেতারা আরেক রকম। বিএনপি নেতারা একে অপরকে সরকারের এজেন্ট বলেন। নিজেরাই ঠিক নেই। তারেক রহমানের প্রশ্নে তাদের মধ্যে সমস্যা আছে। সেটা সবাই জানে।
নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির কোনো নেতার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হওয়ার কোনো সুযোগ আছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলের নেতা ছাড়া অন্য কাউকে সরকারের মন্ত্রী হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাবে না আওয়ামী লীগ।’ তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় যাঁদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ও দিতে চাওয়া হয়েছিল প্রকাশ্যে। কিন্তু পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করে না—এমন কোনো দলের কাউকে আমন্ত্রণ জানানোর চিন্তাভাবনা এখন নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন সত্যি কথা স্পষ্ট করে বলেন, তখন বিএনপির কেন গাত্রদাহ শুরু হয় জানি। বিএনপি দুর্নীতিবাজ ও দণ্ড পাওয়াদের নেতা বানাতে তারা তাদের গঠনতন্ত্র থেকে রাতের আঁধারে সাত ধারা তুলে নিয়েছে। খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের ১০ দিন আগে গঠনতন্ত্র থেকে সাত নম্বর ধারা বাদ দিয়ে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে নিজেরাই নিজেদের প্রকাশ করেছে। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।’