ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল মিজানুরকে তলবের চিঠি দুদক থেকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর পাঠানো হয়। চিঠিতে মিজানুরকে ৩ মে সকাল সাড়ে নয়টায় দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। নির্দেশ অনুযায়ী মিজানুর রহমান আজ সকাল সোয়া নয়টার দিকে দুদক কার্যালয়ে হাজির হন।
মিজানুরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়টি অনুসন্ধান করছেন দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
ডিআইজি মিজানুর ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত জানুয়ারির শুরুর দিকে তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
দ্বিতীয় বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানুরের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনেরও অভিযোগ ওঠে। জানা গেছে, ব্যাংক কর্মকর্তা মরিয়ম আক্তারকে গত বছরের জুলাই মাসে বিয়ে করেন মিজানুর রহমান। ২০১৯ সাল পর্যন্ত সেই কথা গোপন রাখার শর্ত দিয়েছিলেন স্ত্রীকে। মরিয়ম রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি গত ১২ ডিসেম্বর পুলিশ পাঠিয়ে মরিয়মকে গ্রেপ্তার করান।
মিজানুর রহমান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন, সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পরে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পায় পুলিশের তদন্ত কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়। সবশেষ মিজানুরের বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকা প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তুলেছেন।