ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুটের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার দুপুরে চানখাঁরপুল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় বলে ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন রাকিবুল হাসান ওরফে রাকিব, মাসুদ আলম ওরফে মাসুদ, আলী হোসেন শেখ ওরফে আলী ও আবু সাইদ ফজলে রাব্বী ওরফে সিয়াম।
ডিএমপি জানায়, গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, চারজনের মধ্যে কেউই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নন। শুধু মাসুদ আলম ঢাকা আলিয়া মাদরাসার ছাত্র। অন্য তিনজন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র নন। এর মধ্যে গ্রেফতার রাকিবের নামে বরিশাল ও লক্ষ্মীপুরে পাঁচটি মামলা রয়েছে।
৯ এপ্রিল রাতে অজ্ঞাত মুখোশধারী একদল যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় ১০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এস এম কামরুল আহসান শাহবাগ থানায় মামলা করেন। এজাহারে কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
শাহবাগ থানায় করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, ৯ এপ্রিল রাতে অজ্ঞাত অনেক মুখোশধারী সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারী লোহার রড, পাইপ, হেমার, লাঠি নিয়ে বেআইনিভাবে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বাসভবনের বাউন্ডারি ওয়াল টপকে এবং ভবনের মূল ফটকের তালা ভেঙে ভবনের ভেতরে অনধিকার প্রবেশ করে। তারা বাসভবনের দামি জিনিসপত্র, আসবাবপত্র, ফ্রিজ, টিভি, লাইট, কমোড ও বেসিনসহ অনেক মালামাল ভাঙচুর করে তি করে। একই সাথে দামি জিনিসপত্র লুটতরাজ করে। তা ছাড়া ভবনে রাখা দু’টি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং আরো দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ছাড়াও ভবনে রাখা সিসিটিভির ক্যামেরাগুলো ভেঙে ফেলে। একই সাথে সিসি ক্যামেরার ডিভিআরগুলো আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করে ফেলে।
গ্রেফতাররা আন্দোলনে সম্পৃক্ত কেউ নন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুটের ঘটনায় গ্রেফতার চারজনের কেউই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত নন বলে জানান কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। তিনি বলেন, আটক চারজনের কেউই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না এবং তারা স্বীকার করেছেন, তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে জড়িত নন।