এলপি গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ও এলপি গ্যাস ব্যবহারে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের উদ্যোগে ‘নিরাপদ নিবাস’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদয়ন মোড়ের আলাউদ্দিন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গৃহিণীদের নিয়ে এ ক্যাম্পেইন হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএলপিজিএল ও এসআইসিএল-এর জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মীর টিআই ফারুক। এছাড়া বসুন্ধরা এলপি গ্যাস-এর পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিভিশনাল ম্যানেজার আহাম্মদে আলি রপিন, ব্র্যান্ড বিভাগের মো. আরফি সদ্দিকি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পরিবেশক ড. জিয়াউর রহমান খান ও অন্য স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
উপস্থিত বক্তারা সাম্প্রতিক সময়ে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণ এবং প্রতিকারের বিষয়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তাদের অভিমত প্রকাশ করেন।
বক্তারা জানান, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ প্রতিরোধে বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ব্যবহারকারীদেরও সচেতনতার বিষয়টিও অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ গ্যাস সিলিন্ডার আইন- ১৯৯১ অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ বছর পর পর সিলিন্ডার রি-টেস্টিং বা পুনঃপরীক্ষার কথা বলা থাকলেও বেশ কিছু কোম্পানির নিজস্ব রি-টেস্টিং ও পর্যাপ্ত মান নিয়ন্ত্রণের সু-ব্যবস্থা নেই। যার ফলে ওইসব কোম্পানি স্বল্প মূল্যে পুরনো ও নিম্নমানের সিলিন্ডার নিয়মিত ভাবেই বাজারজাত করে যাচ্ছে । এর ফলে ব্যাবহারকারীরা তাদরে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধ গ্যাস রিফিলিং করে এল পি গ্যাস বাজারজাত করছে। এর ফলে সিলিন্ডার লিকেজ ও দুর্ঘটনার সম্ভবনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। অবৈধ রিফিলিং রোধে বক্তারা কোম্পানি, ব্যবসায়ী ও ব্যাবহারকারীদরে দৃষ্টি আকর্ষণের পাশাপাশি এর বিপক্ষে জনমত গড়ে তোলার আহবান জানান। একই সঙ্গে তারা ভোক্তাদের কেবলমাত্র স্বীকৃত ডিলার/রিটেইলার পয়েন্ট হতে সিলিন্ডার ক্রয়ের পরামর্শ দেন।
ইতিমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাশাপাশি বগুরা, নাটোর, দিনাজপুর, নওগাঁ ও গাইবান্ধায় নিরাপদ নিবাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, করপোরেট দায়বদ্ধতাকে প্রাধান্য দিয়ে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস দেশব্যাপী নিরাপত্তা বিষয়ক প্রচারণা ‘নিরাপদ নিবাস’ ক্যাম্পেইন চালু করেছে। যা দেশব্যাপী চলবে।