আর মাত্র ১৫ দিন: জাহাঙ্গীর আবার কাঁদলেন, কাঁদালেন কেন!

Slider টপ নিউজ

images (1)

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর অফিস: গাসিক নির্বাচনের আর মাত্র ১৫দিন বাকী। এখন চলছে প্রচারণা। প্রার্থী ও সমর্থকেরা ভোটারদের ঘরে যাচ্ছেন, সভা সমাবেশ করছেন। মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থী থাকলেও আলোচনায় দুই জন। নৌকা ও ধানের শীষ। জাতীয় প্রতীকে এবারের নির্বাচন গাসিকে প্রথম। তাই অতীতের ভোটের সমীকরণ দিয়ে এখন হিসেবে করলে সমাধান আসবে না। নতুন করে হিসেবে করতে হবে। কারণ ২০১৩ সালের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধি প্রধান প্রার্থী এবার নেই। এবার নতুন দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্ধিতা হচ্ছে। নতুন প্রার্থী নতুন প্রতীক তাই হিসেবে কিতেবও আলাদা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মনোনয়ন নিয়ে বিরোধ নিস্পত্তি হলেও মাঠে তেমন কোন প্রভাব দেখা যায় নি। জাহাঙ্গীর আলমের স্বদলীয় প্রতিদ্বন্ধী এডভোকেট আজমত উল্লাহ খানকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ফোন করে নির্বাচনী প্রচারণায় নামিয়েছেন। তবে গতকাল অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামীলীগের গুরুত্বর্ন সভায় উপস্থিত ছিলেন না, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান। ওই সভায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেলক হক. প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ও এমপি সিমিন হোসেন রিমি সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে জাহাঙ্গীর আলম কেঁদে ফেলেন এবং নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিতে গিয়ে কেঁদে কেঁদে বলেন , আপনাদের পায়ে ধরি, আপনারা ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চান।

অনুসন্ধান বলছে, ২০১৩ সালে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে পেয়ে অপহরণ হন জাহাঙ্গীর আলম। পরে তাকে কয়েক দিন পর মাঠে এনে আজমত উল্লাহ খানকে সমর্থন করতে বাধ্য করা হয়। আজমত উল্লাহ খানকে সমর্থনের সভায় হাউমাউ করে কেঁদেছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তবে এই বার আজমত উল্লাহ খানকে সরিয়ে জাহাঙ্গীর আলম মেয়র প্রার্থী হয়েছেন তবে কাঁদলেন কেন! এটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ২০১৩ সালের ওই কান্নার সময় আজমত উল্লাহ খান পাশে ছিলেন, আর গতকালের কান্নার সময় ছিলেন না। দুই কান্নার সমীকরণই করছেন এখন ভোটাররা।

এদিকে শনিবার জাহাঙ্গীর আলম গনমাধ্যমকে বলেছেন, প্রচারণায় প্রতিপক্ষ বহিরাগত লোক আনছে। এটা স্থানীয় নির্বাচন। তাই স্থানীয় লোকরাই করবে।

এতে সাধারণ মানুষ মনে করছেন, এই কথায় জাহাঙ্গীর দুটির মধ্যে যে কোন একটি ইঙ্গিত করে থাকতে পারেন। এক হল, কেন্দ্রিয় নেতাদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই তিনি মেয়র হয়ে যাবেন। আরেকটি হল সিনিয়র নেতারা আসছেন না তার ডাকে বা আসতে গড়িমসি করছেন।

সুতরাং, গতকাল জাহাঙ্গীরের কান্না নিয়ে ভোটারা নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন। গতকাল জাহাঙ্গীর কেঁদেছেন উপস্থিতদের অনেকেই জাহাঙ্গীরের কান্না দেখেও কেঁদেছেন। তাই দেখা যাবে সামনের সময় কি বলে।

এ ছাড়া জাহাঙ্গীর আলম ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাথেও দেখা করেছেন। দেখা করে কদমবুচি করেছেন হেফাজতের আমির আহমদ সফিকেও। তাই সময় বলবে, জাতীয় পার্টি ও হেফাজত জাহাঙ্গীর আলমকে কতটুকু সমর্থন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *