বগুড়া: অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা থেকে মেয়ের লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বগুড়ার শেরপুরে দুর্ঘটনায় হারালেন আরেক মেয়ের স্বামীকে। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ঘোগা বটতলা এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অ্যাম্বুলেন্স ও ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সের চালেকের সহকারীও প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একটি শিশু হয়েছে। নিহত ও আহত সবাই অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী ছিলেন। নিহত দুজন হলেন অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী মামুনুর রশিদ (৩৮) ও অ্যাম্বুলেন্সের চালকের সহকারী। নিহত রশিদ নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার পারোয়া গ্রামের ফারেজ উদ্দিনের ছেলে। আর চালকের সহকারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আহত ব্যক্তিরা হলেন নিহত মামুনুর রশিদের স্ত্রী ফারজানা ববি (৩০) ও তাঁর দুই বছরের শিশু সন্তান মোস্তফা কামাল এবং ববির মা ও রশিদের শাশুড়ি রুনা লায়লা (৫০)। তাঁদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে আসা বগুড়াগামী অ্যাম্বুলেন্স এবং বিপরীত দিক থেকে আসা সিরাজগঞ্জগামী ট্রাকের সঙ্গে ঘোগা বটতলা এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সটি মহাসড়কের পূর্ব পাশে খাদে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নিহত ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিন মোল্লা বলেন, ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে ছোট মেয়ে ফারহানা বেগমের (২৮) লাশ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই মেয়ের স্বামীর বাড়ি ফিরছিলেন মা রুনা লায়লাসহ অন্যরা। অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ হলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
শেরপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ওসমান গনি বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত অ্যাম্বুলেন্সের চালকের সহকারীর পরিচয় বেলা আড়াইটা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর উভয় গাড়ির চালক পালিয়ে যান। তবে গাড়ি দুটি জব্দ করে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম।