স্টাফ কসেপন্ডেন্ট, গাজীপুর অফিস: হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ, এই জীবন জ্বইলা পুইড়া শেষ তো হইল না।। এ গুলো গানের কথা। আর এই কথাগুলোই এখন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায়রত অনেক কর্মীদের মনে মনে বইছে। এমন একজন বিএনপি কর্মী গাজীপুরের ইজ্জত আলী। বিএনপি সৃষ্টি থেকেই তিনি বিএনপির কর্মী। গাজীপুর বিএনপি অফিস ঘিরেই তার কাজ। যে নেতা যা বলেন, তাই করেন তিনি। এর বিনিময়ে তিনি কিছু কিছু করে টাকা পান। দলে তার কি পদ তা জানার দরকার নেই। নির্বাচন এলে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন তিনি। আর দলীয় প্রতীক পেলে ধানের শীষ নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। এই হল ইজ্জত আলীর বিএনপি।
আজকে ইজ্জতক আলীর নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন।
মোঃ ইজ্জত আলী। বয়স ৫০ থেকে ৫৫ এর মধ্যে। স্থায়ী বাড়ি গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নে। ছোটকাল থেকেই তিনি গাজীপুর শহরের পেয়ারাবাগন এলাকায় বসবাস করেন। তার নিজের এক খন্ড জমি আছে পেয়ারা বাাগনে। সেখানেই তিনি টিনসেড ঘর বানিয়ে স্বপরিবারে বসবাস করেন। বিএনপির সৃষ্টি থেকেই তিনি বিএনপির কর্মী। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা আর না থাকার উপর ইজ্জত আলী রাজনীতি নির্ভর করে না। তার মাঠ সব সময় একই রকম। বিএনপির কর্মী হলেও আওয়ামীলীগে তার মূল্য কম নয়। আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথেও তার ভাল সখ্যতা। সুন্দর ও গনতান্ত্রিক সহঅবস্থানে থেকে সক্রিয় রাজনীতি করছেন ইজ্জত আলী। ফলে কোন পদপদবীর দরকার নেই তার।
আজ বুধবার দুুপুরে গাজীপুর শহরের সাংবাদিক পাড়া হিসেবে খ্যাত হাবিবুল্রাহ স্বরণীতে দেখা গেল ইজ্জত আলীকে। হাতে অনেকগুলো লিফলেট ধানের শীষের। রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী পথচারীদের হাতে একটি করে লিফলেট দিচ্ছেন ইজ্জত আলী। আর মুখ দিয়ে বলছেন ভাই একটি ভোট দিয়েন, ধানের শীষে। এই হল ইজ্জত আলীর প্রচারণা।
ধানের শীষের প্রচারণায়রত ইজ্জত আলী বলেন, দলে তার পদের দরকার নেই। তিনি বিএনপির লোক। দল যা বলে, তাই করেন। এবার সিটি নির্বাচনে তার প্রতিদিনের বাজেট কত জানতে চাইলে ইজ্জত আলী বলেন, বাসা থেকে খেয়ে আসি। আবার বাসায় গিয়ে খাই। কেউ এখনো কিছু দেয় নি।